আগামী মাসে অর্ধশতাধিক কর্মদিবস নির্ধারণ রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে আবারও সংশয়
ফয়সাল খান: চলতি মাসে পুলিশ না পাওয়ার অজুহাতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়ে আগামী মাসেও অর্ধশতাধিক কর্মদিবসের তালিকা তৈরী করেছে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক)। এজন্য একটি সিডিউল করে পুলিশ চেয়ে ইতোমধ্যে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে রাজউক। তবে অক্টোবরে দুর্গাপূজা ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর থাকায় পুলিশ প্রাপ্তি কঠিন হয়ে দাাঁড়িয়েছে রাজউকের জন্য। ফলে চলতি মাসের মত আগামী মাসেও রাজউকের অভিযান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানের কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত নামমাত্র একদিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। যদিও ওই একদিনের অভিযান সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। কর্মকর্তাদের দাবি সিডিউলসহ সবকিছু প্রস্তুত ছিল কিন্তু পুলিশ না পাওয়ায় বেশীরভাগ সময় অভিযান চালাতে পারেনি।
রাজউকের সদস্য আসমাউল হোসেন আমাদের অর্থনীতিকে জানান, প্রথম পর্যায়ে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েক জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালালেও পরবর্তীতে পুলিশ না পাওয়ায় তা আর শুরু করতে পারেনি। তিনি বলেন, আগামী মাসে ৪টি জোনে মোট ৫৫ কার্যদিবসের একটি খসড়া তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তালিকা অনুযায়ী ডিএমপিকে পুলিশ চেয়ে একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ভাটারা এবং আজ উত্তরা ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে রাজধানীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ব্যর্থ হয়ে আগামী মাসে প্রায় ৫৫ কর্মদিবসের সিডিউল বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। হিন্দু সম্প্রদায়ে সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা ও আসন্ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত থাকবেন। এর প্রেক্ষিতে ৪ টি জোনে মোট ৫৫ দিন পুলিশ প্রাপ্তি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, শুধু পুলিশ প্রাপ্তি নয় এর পিছনের আরো অন্য কারণ থাকতে পারে। গত জুলাই মাসে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সকল জোনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি তালিকা তৈরী করে রাজউক। তালিকার মধ্যে গুলশান বারিধারা জোনের অবৈধ স্থাপনা হচ্ছে ৫শ ৫২ টি, উত্তরা জোনের ২শ ১৫ টি, মিরপুর জোনের ৫শ ৮০ টি, ধানমন্ডি লালবাগ জোনের ১৭৩ টি, মতিঝিল খিলগাঁও জোনে ১০৫ টি অবৈধ স্থাপনার নাম উল্লেখ থাকলেও এগুলো উচ্ছেদে রাজউকের তৎপরতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর প্রেক্ষিতে ২০ জুলাই সারাদেশের আবাসিক এলাকার ১২ হাজার ৯৫৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে নোটিস দেয়। তালিকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আবাসিক এলাকায় ৩ হাজার ১৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ১৩৭টি এবং রাজউকের ২ হাজার ৪০০ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম