বিপ্লব বিশ্বাস: প্রযুক্তির কল্যাণে সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে জীবনযাত্রা, বদলেছে যোগাযোগের মাধ্যমও। এমন সব সুবিধা প্রশংসনীয় হলেও জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে অনাকাঙ্খিত বিভিন্ন খবর। হু হু করে বাড়ছে সাইবার অপরাধীর সংখ্যা। এজন্য বিশেষজ্ঞরা দুষছেন প্রশাসনের অবহেলাকে। এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও স্বীকার করছে, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণের অভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার পেয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা।
ধরা যাক মেয়েটির নাম তানিয়া। তার মত এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল ভোগের পরিবর্তে প্রতি মুহূর্ত সংগ্রাম করে বাঁচছে। সামাজিক মাধ্যমে গজিয়ে উঠছে কিছু গ্রুপ, যারা বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েদের ঠেলে দিচ্ছে বিপথে। গোপনে তোলা ছবি বা ভিডিও শেয়ার করে নোংরা মন্তব্যে অতিষ্ঠ করে তুলছে ঘটনার শিকার ছেলে বা মেয়েটিকে। এমনকি পরিবারের মানুষগুলোও মুক্তি পাচ্ছেন না হয়রানি থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অল্প বয়সে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দেশের কিছু কিশোর ও তরুণকে করে তুলছে এমন বেপরোয়া।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে দেশে সাইবার অপরাধী ও এ বিষয়ক মামলার সংখ্যা ১৯৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রশাসন বলছে, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে মামলা থাকলেও বেশিদূর এগোতে পারছেন না তারা। বিদ্যমান সাইবার আইনের সঠিক বাস্তবায়ন ও অভিভাবকদের সচেতনতা ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধের পাশাপাশি এর কল্যাণমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম