উদ্যাপনের জলছাপ
কিযী তাহ্নিন
অক্টোবর ২০১৫। আমাদের অর্থনীতির পক্ষ থেকে ফাখরুল ভাই (ফাখরুল ইসলাম) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন ফেসবুকের মাধ্যমে। জানালেন, ফেসবুকের আমার পাবলিক নোটগুলো পড়েছেন তিনি। আমার লেখা চান পত্রিকার জন্য। আমার সঙ্গে এই পত্রিকার কারও কোনোরকম সংযোগ ছিল না এর আগে। অফারটি পেয়ে আনন্দিত হলাম সঙ্গে ভাবনার মাঝেও হাবুডুবু খেলাম। ভাবনা এই জন্য, আমি আদতে ভীষণ অলস মানুষ। কথা দিয়ে না রাখতে পারার মতোন অন্যায়ও করতে চাই না। ভাবনার কথা ভাগ করলাম ফাখরুল ভাইয়ের সঙ্গে। আশ্বাস দিলেন উনি, ‘পারবেন। সপ্তাহে দুটো করে লেখা, কঠিন কিছু নয়।’ আমি এবার আতংকিত। সপ্তাহে দুটো হবে না, পারব না আমি। কথা দিলে হেরে যাব। অগত্যা ঠিক হলো, একটি লেখা। রাজি হলাম।
সপ্তাহের একটি লেখা। কি এক সোনার কাঠি হয়ে আমার ভাবনা ঘুম ভাঙাল, আমি বুঝলাম ধীরে ধীরে। মনের ভাবনা মনে হারানো মানুষ আমি, ভাবনাগুলো স্থান পাচ্ছে ল্যাপটপে, তারপর এক্কেবারে ছাপার অক্ষরে। কি আনন্দময় উদ্যাপন আমার ভাবজগতে। যে বর্ণেরা শব্দ হয়ে ছন্দ তুলত পাঁজরে পাঁজরে, সে ছন্দ ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমি এখন জীবন লিখি আমার মতোন করে। আমি পেলাম আমার নিজের একটুকু বারান্দা, যেখানে ভাবনা আর ছন্দের ছায়া-রোদ খেলা করে ইচ্ছেপাখি হয়ে, যার নাম জলছাপ। যে জলছাপে সচল জীবনের আমার অচল অজুহাতকে দুহাতে দূরে সরিয়ে ভাবনাগুলো আসন পাতে নিজ উঠোনে।
নবম প্রতিষ্ঠাবর্ষে ‘আমাদের অর্থনীতি’র জন্য রইল শুভাশিস। এ উদ্যাপন এবং পথযাত্রা আনন্দময় হোক। ধন্যবাদ ‘আমাদের অর্থনীতি’। আমার ভাবনা ঘুমকে জাগিয়ে তুলবার জন্য। আমাকে আমার জলছাপ খুঁজে দেবার জন্য।
লেখক: কলামিস্ট/ সম্পাদনা: আশিক রহমান