জনগণের সচেতনতাই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যায়
যতীন সরকার
দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা কঠিন। তবে গণতন্ত্র নিয়ে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে বিরোধীদল নামে যারা খ্যাত, তারা যে সমস্ত কথা বলছে সেগুলোকে কোনোমতেই আলোচনার বিবেচ্য হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। কারণ, তারা নিজেরাই তাদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন, ভুল করেছেন। গণতন্ত্র অগ্রসর করে নেওয়ার জন্য বিরোধীদলের যে কাজ করা উচিত সেটি তারা মোটেও করেনি। তবে একটা কথা হচ্ছে যে, গণতন্ত্র মানেই কেবল ভোটাভুটি নয়। ভোট দেওয়াটা হচ্ছে একটি দেশের গণতন্ত্রের অংশ মাত্র। ফলে শুধু ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হয়, চালিয়ে নিতে হয় জনগণের নিজেকেই। জনগণের সচেতনতাই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই জনগণের পক্ষ থেকে সেই সচেতনতা প্রদর্শন করবে, তাদেরকে সমাজের বুদ্ধিজীবী বলা হয়, গলদটা আসলে সেখানেই। প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশের যে সকল বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তারা অতিনগন্যভাবেও গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সমগ্র সমাজে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে কার্যক্রম করা উচিত সেটি তারা করেন না।
তারা মূলত অধিকাংশই তথাগণ্য এলিট সমাজ, বুদ্ধিজীবী বা সুশীল সমাজ। তারা কোনো না কোনোভাবে কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠীর তাবেদারি করে এবং সেখানে তাদের সংকীর্ণ স্বার্থ সাধন করা ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না। দেশের সার্বিক গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে বলা যায়, গণতন্ত্র আজ স্থবিরতাগ্রস্থ হয়েছে। এর জন্য আমরাই দায়ী।
গণতন্ত্রের এই স্থবিরতা থেকে কেটে উঠতে এখনই আমাদের নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তার মধ্যে রয়েছে, আমাদের যার যার দায়িত্ব বা কর্তব্য সেটি সঠিকভাবে পালন করা। কোন কাজটি করা উচিত, কোন কাজটি করা উচিত নয় সেটি সম্পর্কে সঠিক সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে সমাজের অগ্রবর্তী ভূমিকা যারা পালন করে তাদের যথাযথভাবে সচেতন হতে হবে এবং সচেতনতার সঙ্গে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র স্বচ্ছলতার প্রবাহিত হবে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশিক রহমান