যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারও নিশ্চিত করতে হবে
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী
১৯৭৫ সালের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা ও পরিস্থিতি বেশ কয়েক বছর কিছুটা নাজুক অবস্থায় ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই নাজুক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা, রাজস্ব সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, গৃহায়ণ নির্মাণ, চাকরির সুবিধা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা সুবিধার সুযোগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একসময় বিরঙ্গনাদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু এখন বিরঙ্গনাদেরও মুক্তিযুদ্ধের খেতাব অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধার খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। এ সুবিধাদি কখনও, কোনোদিনও ছিল না। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই তো মুক্তিযোদ্ধাদের এ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দেওয়া হবে বলে আমি মনে করি।
এতদিন ধরে যারা অনেক অবহেলিত ছিলেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং খুঁজে বের করে তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের দুঃখের সময় এখন শেষ। সামনের দিকে তাদের আরও সমাদৃত করা হবে সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কথা সবসময় বলে এসেছেন, তিনি তার অঙ্গীকার সঠিকভাবে পালন করবেন। তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং আরও যারা বাকি আছেন, বিচারাধীন রয়েছে তাদেরও যথাযথ বিচার হবে এবং শাস্তিও নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে শেষ যুদ্ধাপরাধী থাকা পর্যন্ত বিচারকাজ চলবে। যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারও নিশ্চিত করতে হবে, এটা মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রত্যাশা করছি, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারটিও নিশ্চিত করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
পরিচিতি: শহীদ জায়া
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান