খুনি দানব আইএসআই
সৈয়দ রশিদ আলম
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক এর সময় আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নে সৈনিকদের গুপ্তভাবে হত্যা করার জন্য পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার চৌকষ অফিসাররা আফগানিস্তানের দুর্গম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে আইএসএর সুনাম বা দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর যে সকল সদস্যরা নিষ্ঠুরতায় সবার উপরে তাদেরকেই শুধু আইএসআই এ নিয়োগ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ এর সময় আইএসআইকে শক্তিশালী করা হয়। শতভাগ ভারতবিরোধী ও হিন্দুবিরোধী সেনা কর্মকর্তাদের আইএসআইতে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারতের, কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি রাজ্যে গোলযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে পাঠানো হতো। ভারতের চৌকষ গোয়েন্দারা বিশেষ করে ‘র’ এর গোয়েন্দারা পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের দমন করতে পারতেন না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আইএসআই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে থাকেন। যে কারণে ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে আইএসএর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অসভ্য পাকিস্তানিরা আইএসআই এর সাহায্যে একের পর এক অপকর্ম করতে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের চৌকষ গোয়েন্দারা পাকিস্তানের সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দিকে আইএসআই কুদৃষ্টি দিয়ে রেখেছে কিন্তু উভয় দেশের অর্থাৎ ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে গোয়েন্দা অপারেশন চালাতে সক্ষম হয় তাহলে দুষ্ট দানব আইএসকে দমন করা সম্ভব। দুদিন আগে ভারতের কাশ্মীরে ভারতের সেনাবাহিনী সদস্যদের যে হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রবেশ করেছেন অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে এদের আগমন ঘটেছে। যারা ছিল আইএসএর একদল খুনি সদস্য। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে যতটা বিষাক্ত মনে করা হয়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে তার চেয়েও বেশি বিষাক্ত মনে করা হয়। বাংলাদেশের পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মীরা কোথায় যাচ্ছেন কার সঙ্গে দেখা করছেন সেটা নজরদারিতে রাখা উচিত, অন্যথায় সর্বনাশ যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে।
লেখক: কলামিস্ট / সম্পাদনা: আশিক রহমান