আইএস জঙ্গিদের মাথা রান্না করেন যে ইরাকী গৃহবধূ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৯ বছর বয়সী ওয়াহিদা মোহাম্মদ। উম হানাদি নামেই তিনি অধিক পরিচিত। আইএস জঙ্গিদের হাতে হারিয়েছেন পরিবার। বহুবার হামলা হয়েছে তার ওপরেও। এরপরই ক্রোধে ফেটে পড়েন। রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেন আইএস’র বিরুদ্ধে। একাধিক আইএস জঙ্গির মাথা ধড় থেকে আলাদা করে তা রান্না করে মনের ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি তার। সিএনএন
ওয়াহিদা ইরাকের মসুল থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে শিয়ারকোট শহরে প্রায় ৭০ জন পুরুষের একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র সামনে হাজির হয়েছিলেন সাক্ষাতকার দিতে। এ সময় তার পরণে ছিল কালো পোশাক। ঘাড় পর্যন্ত ঢাকা ছিল কালো স্কার্ফে। বাম বাহুর নিচে ৯ মিমি বেরেটা পিস্তল। পেছনে অস্ত্রধারী কয়েকজন পুরুষ।
উম হানাদির বাহিনী একটি উপজাতীয় মিলিশিয়াদের অংশ। তিনি আইএস জঙ্গি দমনে সরকারের বাহিনীকে সাহায্য করছেন। তিনি বলেন, ‘’আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে যুদ্ধ ঘোষণা করি। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কাজ শুরু করি। এ কারণে আল কায়দা ও পরে আইএস’র ক্রোধের পাত্রে পরিণত হই। আমি আইএস’র শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে এমনকি আল বাগদাদির কাছ থেকে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু গায়ে মাখিনি। আমার কাজ চালিয়ে গেছি। হানাদি জানান, আমি আইএস’র টপ মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। ২০০৬, ২০০৯, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আমার বাড়ির বাইরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। আইএস’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা এ নারী জানান, তার পুরো পরিবারকে খুন করেছে আইএস জঙ্গিরা। তার প্রথম স্বামীকে খুন করা হয়। পরে সে দ্বিতীয় বিয়ে করলে চলতি বছরের শুরুতে তাকেও খুন করে আইএস। তার বাবা ও তিন ভাইকেও খুন করা হয়েছে। এমনকি তার পোষা ভেড়া, কুকুর ও পাখিগুলোকেও মেরে ফেলে। অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে যায়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
‘ছয়বার তারা আমাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করেছে। আমার মাথা, পা এবং পাজর ভেঙে গেছে।’ স্কার্ফ তুলে মাথার ক্ষতচিহ্ন দেখান হানাদি। তিনি বলেন, এগুলো করে আমার সংগ্রাম বন্ধ করতে পারেনি তারা (আইএস)। আমার বাহিনী আইএস’র বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। আমি একাধিক আইএস জঙ্গির মাথা বিচ্ছিন্ন করেছি। তাদের মাথা রান্না করেছি। তাদের শরীর পুড়িয়ে কয়লা করে দিয়েছি।