ডেস্ক রিপোর্ট : বর্তমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপ মতে, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ। আমাদেরসময়
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সাংসদ আবদুল মতিনের অপর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ওষুধ আমদানিকারক দেশের পরিবর্তে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। দেশের চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১২৫টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে।
দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মারা গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
সাংসদ ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে চিকিৎসাসেবা ও এইচআইভি সনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল হতে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে পালন না করায় এবং নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বেশকিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টÑ এ ৮ মাসে মান-বহির্ভূত ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬ পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা পদ বাতিল বা সাময়িক বাতিল করা হলে তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫৩টি। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক কারখানা ২৬৬, ইউনানী ২৬৭, হোমিওপ্যাথিক ৭৯ এবং হার্বাল ৩২টি রয়েছে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি