রিকু আমির: জঙ্গি দমন করা সম্ভব হয়েছে, তামাক-ধূমপানও দমন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার বিকালে ব্র্যাক সেন্টারে স্বাস্থ্য অধিদফতর, দৈনিক সমকাল ও ব্র্যাক আয়োজিত ‘যক্ষ্মা এবং তামাক সেবন : দ্বৈত সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বহুশক্তিধর দেশ জঙ্গি দমন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ পেরেছে। এটা যেহেতু পারা গেছে, সেহেতু তামাক-ধূমপানও দমন করা যাবে।
ধূমপান ও তামাক অর্থহীন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা অসুখ ডেকে আনে। কিন্তু এক শ্রেণির কাছে এটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের বৈঠক তখনই সার্থক হবে যখন আমরা তিন মন্ত্রণালয় আবার এক সঙ্গে বসে আলোচনা ও সেখান থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালার আলোকে কাজ করতে পারি।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সমস্যা তামাকের ব্যবহার ও ধূমপান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এজন্য আমাদের তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে। তবে এর বিকল্প দিকটাও ভাবতে হবে। কারণ এটাও একটা বাস্তবতা যে, তামাক চাষ কৃষকের জন্য লাভজনক। তাই চাষীদের বিকল্প ব্যবস্থা করে আমাদের তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডা. মজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান ডা. শায়লা ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সামগ্রিকভাবে দেশে বর্তমানে ২৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী সরাসরি ধূমপানের সঙ্গে তামাক সেবন করেন। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ০৭ শতাংশ পুরুষ ও ০১ দশমিক ০৫ শতাংশ মহিলা। আর কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে এমন পুরুষের সংখ্যা ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মহিলার সংখ্যা ২৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সমকাল এর নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন- জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শহীদ মো. সাদিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও ন্যাশনাল টোব্যাকো কন্ট্রোল সেল এর কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ব্র্যাকের টিবি-ম্যালেরিয়া-ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম প্রমুখ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু