হামিদুর রহমান : কনটেইনারবাহী গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের একটি সংগঠনের টানা কর্মবিরতির ফলে রপ্তানিমুখী শিল্পের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয় এ ব্যবসায়ী সংগঠনটির জনসংযোগ দফতর থেকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণ্যিজের পণ্যবাহী কনটেইনারের ৯৭ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা-নেওয়া করা হয়। চলমান কর্মবিরতির ফলে কনটেইনারবাহী গাড়ির মালিকদের সংগঠনটির আওতাধীন ৮ হাজার গাড়িতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে গাড়িভেদে পণ্য পরিবহনের পরিসীমা বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে ওজনের বিষয়টি যথাযথভাবে মেনে চলা হয় এবং রপ্তানিকারকরা কোনো ধরনের হয়রানির সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানায় এফবিসিসিআই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলমান কর্মবিরতির ফলে আমদানি করা পণ্য বোঝাই কনটেইনার খালাসের কাজ ব্যাপকভাবে বিঘিœত হচ্ছে এবং বন্দরে আমদানি পণ্যের স্তূপ বাড়ছে। এছাড়া বন্দর থেকে জাহাজগুলো খালি ফেরত যাওয়ায় যেমন রপ্তারিকারকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, একইসাথে বন্দরের তথা জাতীয় রাজস্ব আহরণও বিঘিœত হচ্ছে। যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং দেশের রপ্তানি খাতের ইমেজসংকটে পড়ছে। এরূপ পরিস্থিতে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পসহ সব রপ্তানি খাতের পণ্য পরিবহন সচল রাখার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অবিলম্বে এ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে আহবান জানাচ্ছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম