ফেসবুকে সপ্তাহের দুনিয়া…
তবু মহালয়া আসে
অজয় দাশগুপ্ত, সিডনি প্রবাসী, কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষক
আমি মোটেও ধার্মিক কেউ নই। বরং প্রথাগত বিশ্বাসীরা আমাকে ভয় ধরিয়ে দেয়। তারপরও কিছু সকাল অলৌকিক আনন্দের মতো আসে। যে সকালে আমার মা সূর্য ওঠার আগে ছোট ছোট দীপ জ্বালিয়ে ভোর ডেকে আনতেন।
একটি মাত্র ছোট চার ব্যাটারির রেডিওতে আবাহন শুরু হতো বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের সম্মোহনী বাণীসুধায়। আকাশবানীর হাত ধরে দিগন্ত থেকে কি এক আশ্চর্য সুধা নেমে আসত আমাদের ছোট্ট বাসায়। ও ঘরে চুপ করে শুনতেন বাবা। দিদিরা যার যার মতো সকাল বরণে ব্যস্ত।
দিদিরা কবে অন্য বাড়িতে চলে গেছে। আজ বাবা নেই। মাও নেই। তবু মহালয়া আসে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র নেই। রেডিও নেই। আছে শরৎ। আছে ঘরে ঘরে দশের অধিক হাতে জীবন সামাল দেওয়া জননীরা। আছে আমার মতো অধার্মিকের চোখের জলে স্নাত মহালয়া।
শুভ শারদ উৎসব।
আতঙ্কিত হবেন না, কোনো যুদ্ধ সম্ভবত হচ্ছে না
ফিরোজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য, গণ সংহতি আন্দোলন
কাশ্মীর চাপা পড়ে গেল কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনার আয়োজনে। যে সংগ্রাম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়, নৈতিক শক্তিটা তার জন্য খুব জরুরি। ফিলিস্তিনের সংগ্রামের দুর্বলতার সূত্রপাত হামাস থেকে, কেননা আরাফাতের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্রনীতির বদলে সামনে এলো কেবল মুসলমানদের জন্য রাষ্ট্রনীতি। সেই নীতিও সঙ্গত কারণে সকল ফিলিস্তিনি মুসলমানের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পিএলওর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকেও সকলেই রাজনীতি হিসেবেই নিয়েছিল, সমর্থনের অভাব তার হয়নি।
ভারত অনেক বেশি ভয় পায় কাশ্মীরের গণঅভ্যুত্থানকে। নৈতিক শক্তি হারিয়ে সে তোতলাতে থাকে দুনিয়ার সামনে। কিন্তু কোনো হামলাকে সে পাকিস্তান সমর্থিত কিংবা ধর্মীয় হামলা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে সে দাঁত-নখ বের করার অজুহাত পায়।
আতঙ্কিত হবেন না, কোনো যুদ্ধ সম্ভবত হচ্ছে না। হলেও সেটা হবে খুবই সীমিত আকারের, তাও কেবল যদি পাকিস্তানের সিপাহতার চাকরিখানা পাকাপোক্ত করতে চান।
অথচ পাকিস্তানিরা তাদের সামরিক শক্তি নিয়ে বড়াই করে
আরিফ জেবতিক, সাংবাদিক ও লেখক