ফেসবুকে বাংলাদেশ…
সাইকেলকে পারমাণবিক বোমা মনে করছেন!
গোলাম মোর্তোজা, সম্পাদক, সাপ্তাহিক
একটি অসত্য ঢাকার জন্য দশটি অসত্য বলতে হয়। কিন্তু অসত্য ঢাকা যায় না। জেনে-বুঝে চারপাশে অসত্যের পাহাড় তৈরি করে ফেলেছেন। সেই অসত্যের পাহাড়ের নিচে নিজেরা চাপা পড়েছেন।
ভাড়াটিয়া বিশেষজ্ঞ বা বিজ্ঞাপনী প্রপাগা-া, কোনোকিছুই আপনাদের রক্ষা করতে পারেনি। সত্যের কাছে অসত্য শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এখন তা-ব চালানোর নীতি নিয়েছেন, দুঃস্বপ্ন দেখছেন।
সাইকেলকে পারমাণবিক বোমা মনে করছেন! এটা একটা রোগ। এই রোগে আপনারা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই রোগমুক্তির একমাত্র উপায় অসত্য ত্যাগ করে, সত্যের কাছে ফিরে আসা।
নাগরিক ব্রাহ্মণদের সাইকেল যাত্রায় নমশুদ্রদের ঠাঁই নেই
পিনাকী ভট্টাচার্য, চিকিৎসক ও কলামিস্ট
নাগরিক ব্রাহ্মণদের সাইকেল যাত্রায় নমশুদ্রদের ঠাই নেই। বিএনপি নামের নমশুদ্ররা আসতে চেয়েছিল, প্রগতিশীল বাম ব্রাহ্মনেরা দূরদূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
এই প্রগতিশীলরা ক্ষমতা আর রাজনীতি কোনোটাই বুঝল না। বুঝল না কীভাবে পালটা ক্ষমতা তৈরি করতে হয়। এই শুদ্ধাচারী বুরবকদের ক্ষমতার প্রতি স্পর্ধি হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে পুরুতঠাকুর হওয়া উচিত।
এখনও সময় আছে, বিজ্ঞতার সঙ্গে রাজনৈতিক শক্তি সমাবেশ করুন। শুধু বিএনপি নয়, ইসলামপন্থিদের সঙ্গে নিন। ইসলামপন্থিরা আপনার চাইতে ভালো প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষার বিষয়টা বোঝে। শুধু আপনাদের বিশ্বাস করতে পারে না তাই দূরে আছে। তারা মনে করে, আপনারা ধর্মদ্রোহী নাস্তিক। এই ধারণা যেহেতু আপনারাই তৈরি করেছেন, এটাকে দূর করার দায়ও আপনাদের।
নইলে এবার জলকামান মেরেছে, এরপরে পিছনে মরিচ পটকা লাগিয়ে আগুন দিয়ে দিবে। আপনারা দৌড়াইবেন আর ওরা হাততালি দিব। তখন বুঝবেন, ক্ষমতা কারে কয়।
গরমপানির কামান দেগে দেওয়া একটি নিষ্ঠুর কাজ
আরিফ জেবতিক, সাংবাদিক ও লেখক
শুধু রামপাল নিয়ে নয়, দুনিয়ার সব ইস্যু নিয়েই পক্ষে-বিপক্ষে মতামত থাকবে, তর্ক-বিতর্ক, বাদ-প্রতিবাদ হবে। বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভ থাকতেই পারে। যতক্ষণ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকবে সেই বিক্ষোভে রক্তচক্ষু নিয়ে পুলিশের ঝাপিয়ে পড়াকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিরোধিতাকারী অ্যাক্টিভিস্টরা বাইসাইকেল চালিয়ে শহীদ মিনার থেকে প্রেসক্লাবে যাবেন, এর মাঝে কোনো ক্ষতিকর কিছু নেই। তাদেরকে শান্তিতে প্রতিবাদ করতে দেওয়া উচিত।
তা না করে সেখানে গরমপানির কামান দেগে দেওয়া একটি নিষ্ঠুর কাজ। সাইকেল র্যালির উপর ছাত্রলীগের বাধা ও পুলিশি নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও এমন প্রশ্ন দেখিনি…
মাসকাওয়াত আহসান, সাংবাদিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের পাঠ ও নাট্যশাস্ত্রে পাঠের সময় বিশ্বসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য অনেক লেখকের লেখা পাঠের সুযোগ হয়েছিল। শিক্ষকদের ক্লাস লেকচার, টিউটোরিয়াল ক্লাসের আলোচনা, সাহিত্য সমালোচনার যাবতীয় পাঠে লেখকদের যে লেখা বা টেক্সট তা নিয়ে নানান দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কোনোদিনই টিএস এলিয়টের বৃটিশ রাণীর প্রতি আনুগত্য ছিল কী ছিল না; শার্ল বোদলেয়ারের কয়টি প্রেমিকা ছিল, লিও তলস্তয় কয় পেগ ভোদকা খেতেন ইত্যাদি বিষয় সেসব সাহিত্য সমালোচনার উপজীব্য হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রেও এমন প্রশ্ন দেখিনি যেখানে বলা হয়েছে শেক্সপীয়ারের ব্যক্তিগত জীবনের কাসুন্দি বিস্তারিত ঘেঁটে দেখাও। কাজেই সাহিত্য সমালোচনা বলতে লেখকের লেখা নিয়ে পর্যালোচনাই বুঝে এসেছি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে নতুন একটি সংজ্ঞা পাওয়া গেল সাহিত্য সমালোচনার। ‘পরচর্চাকেই সাহিত্য সমালোচনা বলে।’