বিপ্লব বিশ্বাস : জেনারেল ডায়েরি বা জিডি। কারও হুমকি বা জরুরি কিছু হারিয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে পুলিশি সহায়তার আশায় এ আইনি প্রক্রিয়ার দ্বারস্থ হতে হয় মানুষকে। কিন্তু জিডি করতে থানায় গেলে বেআইনিভাবে অর্থ দাবির পাশাপাশি মানুষকে হেনস্থারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ কারণে অপরাধ বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের চাওয়া, জিডির পদ্ধতিটি অনলাইনে করা সম্ভব হলে এ দুর্ভোগ এড়ানো যাবে। এদিকে পুলিশ বলছে, কিছু সমস্যার কারণে অনলাইন জিডি প্রক্রিয়াটি আপাতত চালু করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি নিজেদের পরিচয় আড়াল করে রাজধানীর রূপনগর থানায় জিডি করতে গেলে এক সংবাদকর্মীর কাছে টাকা দাবি করে পুলিশের একজন এএসআই। এসব কারণে বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষরা বলছেন, ভুক্তভোগীরা জিডি করতে এসে যাতে উল্টো আরও ভোগান্তিতে না পড়েন সে কারণে অনলাইনে জিডি পদ্ধতি চালু করা উচিত।
পুলিশ বলছে, অনলাইনে জিডি পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রযুক্তিক জটিলতা ও অনলাইনে জিডির সুযোগকে কেউ যাতে অপব্যবহার করতে না পারে সে কারণে এটি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘অনলাইন জিডি আমরাও চাই। কিন্তু কিছু কৌশলগত সমস্যা আছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। সমাধান করা গেলে পরবর্তীতে আবার সেটা বিবেচনা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, জিডি করতে কোনো পুলিশ অর্থ দাবি করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি হয়রানি বন্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে থানাগুলোতে জিডি বুক দেওয়া হয়েছে। এতে ফটোকপির ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না ভুক্তভোগীদের।
অপরাধ বিজ্ঞানী শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে না গেলে থানায় যেতে চায় না। সুতরাং বাসায় বসে ইন্টারনেটে জিডি করতে পারলে খুবই ভালো। এতে হয়রানি কমে আসবে।’ সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সমুন