এখন শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ
মাননীয় স্পিকার, তবে যেহেতু সময়ের অভাব, আমি বেশি সময় নেব না। এখানে একটি বই পাবলিশ করা হয়েছিল ‘ডঅজ ঈজওগঊঝ অঘউ এঊঘঙঈওউঊ: ঞযব ঃৎরধষ ড়ভ চধশরংঃধহ ধিৎ পৎরসরহধষ.’ এই বইটির ভিতর আপনি পাবেন কিভাবে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা তাদের বিভিন্ন কর্মকা- চালিয়েছিল। এর মাধ্যমে সারাদেশ এবং বিশ্বে এটা প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ‘ডঅজ ঈজওগঊ অঘউ ইঅঘএখঅউঊঝঐ: ঞযব ফবঃধরষং ড়ভ যঁসধহরঃু ধহফ লঁংঃরপব এগুলোতে যারা ওয়ার ক্রাইম করেছিল তাদের বিভিন্ন কর্মকা- ব্যাপকহারে প্রচার করে তাদের চরিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা তদানীন্তন আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল। আরও একটি বই রয়েছে ‘ঞঐঙটঝঅঘউ গণ খঅওঝ’ বিভিন্ন সময়ে এই যুদ্ধাপরাধীদের চিত্র তুলে ধরেছিল, আওয়ামী লীগ বিচারের ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যবস্থা রহিত করা হলো কখন?
মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে: মাননীয় স্পিকার, ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘দালাল আইন’ বাতিল করা হয়Ñ ঙৎফরহধহপব ঘড়. ৬৩ ড়ভ ১৯৭৫.
* এরপরে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঝবপড়হফ চৎড়পষধসধঃরড়হ ঙৎফবৎ ঘড়. ৩ ড়ভ ১৯৭৫ প্রথম তফসিল থেকে বাংলাদেশ দালাল আইনের যে সেফগার্ড ছিল তা তুলে দেওয়া হয়।
* এরপর ১৯৭৬ সালে ঝবপড়হফ চৎড়পষধসধঃরড়হ ঙৎফবৎ ঘড়. ৩ ড়ভ ১৯৭৬ জারি করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাদি তুলে দেওয়া হয়।
* ঝবপড়হফ চৎড়পষধসধঃরড়হ (ঘোষণা) জারি করে সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদ তুলে দিয়ে দালালদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
* চৎড়পষধসধঃরড়হ ঙৎফবৎ ঘড়. ১ ড়ভ ১৯৭৭ জারি করে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়।
* ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব ফেরৎ পাবার জন্য মন্ত্রণালয় হতে আবেদন করতে বলা হয়।
* এবং চৎড়পষধসধঃরড়হ ঙৎফবৎ ঘড়. ১ ড়ভ ১ দ্বারা সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া হয়।
এখানে আমি একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, মাননীয় স্পিকার, এসব কিছুই করা হয়েছিল কোনো সংসদের মাধ্যমে নয় বরং মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে। আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও সৃজনশীল লেখক। বিশে^ সকল নামিদামি আন্তর্জাতিক সংস্থা আজ স্বীকৃতি দিচ্ছে। এক বিশিষ্টজন একবার শেখ হাসিনার জন্মদিনের লেখায় বলেছিলেন, শেখ হাসিনা বোধহয় খুব ভালো করে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সিপাই এবং খোয়াবনামা উপন্যাস পড়েছেন, খুব ভালো করে শওকত ওসমানের বনী আদম এবং জননী উপন্যাস পড়েছেন, এবং পড়েছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ভিক্ষ বিষয়ক গল্প। পড়তে পড়তে ভেবেছেন মানুষ, গ্রামবাংলার হতদরিদ্র মানুষ কিভাবে ভাতের জন্য লড়াই করে, সুযোগ পেলেই ভাতের লড়াইকে ভোটের লড়াইয়ের দিকে নিয়ে আসে। তারা লড়াকু মানুষ, অজেয় মানুষ, অমর মানুষ, এই মানুষজনের কাছে শেখ হাসিনার দায়ভার আছে। এই দায়ভারই শেখ হাসিনার রাজনীতি কিংবা তার নিয়তি। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা তার পিতৃপুরুষের জন্মস্থান কেনিয়া সফরে গিয়ে বলেছেন, ‘কেনিয়া যেন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে এই দুই দেশকে অনুসরণ করে। এটা যে কত বড় একটা স্বীকৃতি, ভাবা যায় না। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অসাধারণত্ব। তার সাফল্যে পিছনে রয়েছে তার মহান পিতার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর জীবনের অমলিন শিক্ষা, দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর অনুরাগ, সুদৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, অক্লান্ত পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং অসাধারণ আত্মবিশ্বাস। শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করেন মূল্যবোধ সাময়িকভাবে বর্জন করে বা মূল্যবোধের নীতি থেকে সরে এসে মূল্যবোধ অর্জন করা যায় না।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সম্পাদন: আশিক রহমান