এসিড সন্ত্রাস বন্ধে সবার একসঙ্গে কাজ করা জরুরি
ডা. সামন্ত লাল সেন
এদেশে অ্যাসিড সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তখন অ্যাসিড সন্ত্রাস হতো মূলত ভালোবাসা কেন্দ্রিক বা প্রেম নিবেদন করে কেউ প্রত্যাখ্যাত হলে অ্যাসিড ছুঁড়ত। কিন্তু এখন এটাকে একটা আক্রমণের নতুন কৌশল হিসেবে নিচ্ছে অনেকেই। অ্যাসিড বা এ জাতীয় পদার্থ সহজে বহন করা যায়। সন্ত্রাসী কর্মকা-ে ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র বহন করা অনেক কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু অ্যাসিড বা এ জাতীয় পদার্থ পকেটেও বহন করা যায়। তাদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না যারা এসবের অপব্যবহার করে। অ্যাসিডের এই অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে তদারকি জোরদার করতে হবে। বন্ধ করতে হবে অ্যাসিড সন্ত্রাস। তদারকি জোরদার না করলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
অ্যাসিড সন্ত্রাস উদ্বিগ্ন করছে মানুষকে। অ্যাসিড সন্ত্রাসের কারণে এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনেক অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়েকে আমি কাছ থেকে দেখেছি, ওরা একদম শেষ হয়ে যায়। কারণ অ্যাসিড মারার পর মানসিকভাবে তারা ভেঙে পড়ে। চেহারা বা শরীরিরের বিভিন্ন অংশে অ্যাসিড ছোঁড়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাশ হয়ে পড়ে। মুখে অ্যাসিড মারার ফলে দাগ পড়ে, মুখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে। তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো তখন খুবই কঠিন হয়ে যায়।
অ্যাসিড সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে সাংবাদিক বলুন, প্রশাসন, সাধারণ মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অ্যাসিড সন্ত্রাসের মামলা হয় কিন্তু বিচার হয় না। ভয় দেখিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। সব মানুষ একত্রে এগিয়ে এলে অ্যাসিড সন্ত্রাস বন্ধ হবে। তাই অ্যাসিড সন্ত্রাস বন্ধে সবার একত্র হওয়া জরুরি। একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।
পরিচিতি: প্রধান সমন্বয়কারী, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, ঢামেক
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান