১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ
ফারুক আলম : ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ বিষয়ে মতবিনিময় সভার শুরুতে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক। গতবছর এ সময় ১৫ দিন হলেও এবার ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন এ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) সংশোধন করে এ সময় ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন।
মৎস্যমন্ত্রী জানান, এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ ও মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে কারাদ- ও জরিমানা গুণতে হবে। ৫-৭ বছর আগেও মানুষ ইলিশ খেতে পারত না। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কঠিন পদক্ষেপের ফলে আজ ইলিশ মাছের ছড়াছড়ি। ১৫-২০ বছরের মধ্যে এবার অলি-গলিতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, গরিব মানুষও ইলিশ কিনে খেতে পারছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের ২৭টি জেলায় এই ইলিশ ধরার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে ২২ দিন চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিতরণ, বিপণন, কেনাবেচা, পরিবহন, মজুদ, বিনিময়সহ সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ সময় মাছের আড়ত, হাটবাজার ও বিপণিবিতানগুলোতে (চেইন শপ) অভিযান পরিচালিত হবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার কথাও জানানো হয়।
আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ৪ ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এবার ১৬ অক্টোবর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমা। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু