নাজমা হক, বেনাপোল (যশোর): বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই বন্দরে অগ্নিকা- ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বেনাপোল স্থল বন্দরের আমদানি পণ্যের ২৩ নম্বর গুদামে অগ্নিকা-ের ৩৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারেনি। ফলে কিছু পণ্য অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্য গুদামের মধ্যে দাহ্য জাতীয় পদার্থ রয়েছে। শেডের উপর থেকে ভারী টিন সরিয়ে নিতে না পারায় সম্পূর্ণ রূপে আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সবকিছু করছেন। বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে বন্দরের লোকজন গার্মেন্টস পণ্য রাখার গুদামে কেমিক্যাল ও দাহ্য জাতীয় পণ্য রাখছে। এতে সামান্য অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বারবার বন্দরে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। আজও পর্যন্ত পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা নেই বন্দরে। অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে যশোর-খুলনা ও ভারত থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নিতে হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্পূর্ণভাবে আগুন নেভানোর জন্য। কিন্তু পণ্য গুদামের মধ্যে দাহ্য জাতীয় পদার্থ রয়েছে। শেডের উপর থেকে টিন সরিয়ে নিতে না পারায় সম্পূর্ণরূপে আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কোনো ভয় নেই বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে বন্দরের ২৩ নম্বর পণ্যাগারে আগুন লাগে। এতে কয়েকশ ব্যবসায়ীর আমদানি করা পণ্য, ভারতীয় দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কোনো পণ্য রক্ষা করতে পারেনি। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম