শাহানুজ্জামান টিটু: বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নতুন কমিটি ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি গত শনিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা করেছে। সভা শেষে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর মাধ্যমে নবগঠিত মহিলা দল আফরোজা আব্বাস ও সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক পথচলা শুরু করে।
মহিলা দলের নতুন এই নেতৃত্বের কাছে সংগঠনটির কর্মীদের রয়েছে অনেক চাওয়া পাওয়া। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে মহিলা দলের নেতারা প্রথম যৌথসভায় যোগ দেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন নেতৃত্বের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ বলেছেন মুখ দেখে নেতা না বানিয়ে দলের প্রতি কমিটমেন্ট ও আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা মূল্যায়ন করে যেন মহিলা দলের সকল পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। পকেট কমিটি কিংবা কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো কমিটি যেন জেলা পর্যায়ে না দেওয়া হয়।
নেতাকর্মীদের এই প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবে মহিলা দলের নতুন নেতৃত্ব? এ প্রশ্ন ছিল সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের কাছে। তিনি বললেন, দেখুন, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশাকে আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। আমরা চেষ্টা করব আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর মহিলা দলের কমিটি চূড়ান্ত করার। আমরা শুধু মহানগর নিয়ে বসে থাকব না। পাশাপাশি জেলা কমিটিগুলো গঠনের কাজ আমরা করে যাব।
আমাদের কমিটি এমন সময় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যেদিন আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ ইন্তেকাল করেছেন। আমরা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলঘোষিত চার দিনের শোক পালন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর মহিলা দলের নবগঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যৌথসভা করেছি। তিনি বলেন, বিগত দিনের ত্রুটিগুলোর ভালো মন্দের বিষয়টি আপনারা ভালো জানেন। তবে ত্রুটি যদি কখনো থেকে থাকে সেটাকে আমরা অবশ্যই পূরণ করার চেষ্টা করব। আমরা মনে করি যোগ্যদেরই আমরা নেতৃত্বে নিয়ে আসব। আমরা চাই আমাদের একশটি ওয়ার্ড রয়েছে। ইতোমধ্যে আটটি ইউনিয়ন নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে। ওয়ার্ডগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য প্রথমেই আমরা গুরুত্ব দেব। এরপর নজর দেব ঢাকা মহানগরের উপর। কারণ ঢাকা মহানগর থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
সুলতানা আহমেদ বলেন, এগুলো গঠনের পর আমরা ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর দিকে নজর দেব। যাতে আমরা ডাক দিলে তাদের যেন সহজে পাই এসব জেলাগুলো পুনর্গঠন কাজে হাত দেব। মহিলা দলের এই নেতা বলেন, আমরা বিগত দিনে সভা-সমাবেশ-মিছিল করতে পারিনি। ঘরে বসে কমিটি করতে গেলে সেখানেও বাধা আসতো। বাধা বিঘœ অতিক্রম করে আমরা মহানগর মহিলা দলকে এগিয়ে নিয়েছিলাম। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম