পরাগ মাঝি: ২০০১ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন ধনকুবের ডেনিস টিটো। সে যাত্রায় তার খরচ হয়েছিলো প্রায় ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার। তবে, বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ আরও কম দামেই সাধারণ মানুষকে দিতে চাইছে।
প্রতিষ্ঠান ভেদে ৭৫ হাজার থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যেই এখন মহাকাশ ঘুরে আসা সম্ভব। স্পেস-এক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও চাইছেন মঙ্গলে যাওয়ার টিকিট যেন ২ লাখ ডলারের নিচে রাখা যায়। বর্তমান সময়ের এই অফারগুলো ডেনিস টিটুর সময়কালের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী। আর ডেনিস টিটো যে মূল্যে মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন তা বেশিরভাগ মানুষেরই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মহাকাশ ভ্রমণ খরচের সমস্যা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে ‘স্পেসভল্ট’। প্রতিষ্ঠানটি এমন কিছু আর্থিক পরিক্রমা তৈরি করছে যার মাধ্যমে মঙ্গলে যেতে চাইলে ভ্রমণকারীরা এখানে টাকা জমাতে পারবেন এবং ভ্রমণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সে টাকা বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্পেস প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে।
স্পেসভল্টের নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা জেসন এসপিওটিস বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির দর্শন হলো- যারা প্রয়োজনীয় ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার জমাতে সমর্থ নয় তাদেরও যেন মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া যায়।’
সব শেষে ডিপোজিটের মাধ্যমে ১০ হাজার ডলার জমালেই ৪০ বছর পর সেই অর্থের বিকল্পে প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দেবে। কিন্তু ৪০ বছর কেন? সময়টা কি একটু বেশি দীর্ঘ হয়ে গেলো না?
এর উত্তরে এসপিওটিস বলেন, ‘দুটি দিক পর্যালোচনা করেই ৪০ বছরের সিদ্ধান্ত; যার প্রথমটি হলো, আর্থিক বিবেচনায় সঞ্চয়ের যৌগিক বৃদ্ধি আর দ্বিতীয়ত, লক্ষ্য পূরণ করতে প্রতিষ্ঠানের ন্যায়বোধকে ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।’
যদি সবকিছু ঠিকঠাক এগোয় তবে, মহাকাশ ভ্রমণেচ্ছুদের জন্য এটি একটি ভালো বিনিয়োগ। ২৫ বছর বয়সী কেউ এখনই ১০ হাজার ডলার জমিয়ে রাখতে পারে। তাহলে ৪০ বছর অর্থাৎ রিটায়ার্ড করার পর মহাকাশেও এক চক্কর ঘুরে আসার তেষ্টা মেটানো সম্ভব হবে! সম্পাদনা : সুমন ইসলাম