মধুমতীর ভাঙনের কবলে স্কুল ও ঘরবাড়ি
উজ্জল মাহমুদ, লোহাগড়া (নড়াইল) : বর্ষার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতি নদীতে। মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে লোহাগড়া উপজেলার বিস্তৃণ এলাকা। ভাঙনের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে অনেক মানুষ।
ঘরবাড়ি ভেঙে সহায় সম্বলহীন মানুষ আতœীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এছাড়া ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেকোনো সময় বিদ্যালয়ের ভবনগুলো নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ঘাঘা, চরমঙ্গলপুর, পি-চরসুসাইল, টিকরগাতী, মাকড়াইল, তেঁতুলিয়া ও শিয়েরবর এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী তীরবর্তী ওই সব এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন। অনেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। তাছাড়া ওই এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধুমতীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।
গতকাল ঘাঘা সরকারি প্রাথমিক গিয়ে দেখা গেছে, ১৯৯৮ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন তৈরি হয়। এ ভবনেই চলে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম। মধুমতীর ভাঙনে খেলার মাঠ প্রায় বিলীন হয়েছে। নদী থেকে মাত্র ১২ ফুট দূরে রয়েছে ভবনটি। এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খানম বলেন, স্কুলে এসে আতঙ্কে থাকি। কখন যে নদীতে স্কুলসহ চলে যাই। তাই সব সময় নদীর দিকে তাকিয়ে থাকি। খেলার মাঠ নদীতে চলে যাওয়ায় খেলাধুলা করতে পারি না। লখালেখিও হয়েছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। চরমঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খেলার মাঠ পুরোটাই নদীতে চলে গেছে। নদী থেকে বিদ্যালয় ভবনটির দূরত্ব এখন মাত্র ৩০ ফুট।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাবুদ্দিন মোল্ল্যা জানালেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন বেড়েছে। যেকোনো সময় বিদ্যালয় ভবন নদীতে বিলীন হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। সম্পাদনা: তারেক