যেন ভ্রাম্যমাণ ইউপি কার্যালয়
শাহজালাল ভূঁঞা, ফেনী : ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের কোন স্থায়ী কার্যালয় নেই দীর্ঘদিন যাবত। ভাড়া ঘরে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন নানা বেকায়দায়। গত ৪৫ বছর যখন যিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তখন তার পছন্দের স্থানে অস্থায়ীভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এটি যেন একটি ভ্রাম্যমাণ ইউপি কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, ইউনিয়নের লোক সংখ্যা ৬১ হাজার ৩৬২ জন। ১৭টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত এ রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হায়দার চৌধুরী রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করেছিলেন। সেখানেই ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানো হতো। ১৯৭২ সালের পর পুরানো এ কার্যালয়টি আর ব্যবহার করা হয়নি। তারপর থেকে কার্যালয়টি দিনে দিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে সম্পূর্ন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের দরজা, জানালা এমনকি ছাদটাও নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে সেটি সংস্কার ও মেরামতেরও অযোগ্য। তাছাড়া ওই ভবনের সম্পত্তি একটি ওয়াকফ্ এষ্টেট এবং ওই সম্পত্তি নিয়ে বর্তমানে আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতক জমি দরকার। বিতর্কিত ওই স্থানে জমির পরিমাণ অনেক কম।
ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়- ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট কোন কার্যালয় না থাকায় এলাকার লোকজনকে কষ্ট পেতে হয়। ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্ত জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবু আহম্মদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ভিজিডি বা ভিজিএফ অথবা খয়রাতি ১০ কেজি চালের জন্য যেতে হয় ৭ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর বাজারে। সেখানে দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। সম্পাদনা: তারেক