কাঁচামাল ও জনবল সংকটে সৈয়দপুর রেলওয়ে
মো. জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, কাঁচামাল ও জনবল সংকটের মুখে পড়েছে প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবহনকারী সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। অথচ এসব সমস্যা সমাধান করা হলে এখানে তৈরি হবে বিশ্বমানের কোচ। যা দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানি করে আয় করা সম্ভব বৈদেশিক মুদ্রা। তবে কারখানাকে আধুনিকায়ন করে সব সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির সাথে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিগত ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এক সময় প্রায় ১২ হাজার শ্রমিকের পদচারণায় মুখরিত ছিল কারখানা। ২২টি ওয়ার্ক সপে ছোট বড় মেশিনের চাকা ঘুরত দিন রাত। এখন মেকানিক্যাল ও ইলেট্রিক্যাল বিভাগে তিন হাজার ১৭২ জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র এক হাজার ৪৪৭ জন।
কারখানায় কর্মরত দক্ষ কারিগররা বলছেন, জনবল নিয়োগ দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ দেওয়া হলে নির্মাণ করা যাবে বিশ্বমানের কোচ। এ কারখানায় তৈরিকৃত কোচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। এতে আয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন বলেছেন, খালাসি পদে তিনশ ৭২ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১০০ জন। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে তিনশ জন দক্ষ কারিগর অবসরে যাবেন। নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার পর তারা দক্ষ কারিগরদের সাথে থেকে এক পর্যায়ে দক্ষ হয়ে উঠে। কিন্তু যেভাবে দক্ষ কারিগররা অবসরে যাচ্ছেন সেভাবে নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সম্পাদনা : তারেক