যেসব মেয়েদের বিয়ে করা যায় না!
হুমায়ুন আইয়ুব
পৃথিবীর প্রথম বন্ধন স্বামী-স্ত্রীর। জান্নাতে বাবা আদম ও মা হাওয়ার। মৃত্যুর পরও জান্নাতিরা বসবাস করবেন স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে। এই জগতের সবচেয়ে মধুর সম্পর্কটির নামও স্বামী-স্ত্রী। তবে মুসলিম সংস্কৃতি ও ইসলামের ল অনুযায়ী বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলেও কয়েকজন নারীকে বিয়ে করা হারাম জানে ইসলাম। যাদের বিয়ে হারাম জানে ইসলাম, তাদের বিষয়ে সুরা নিসার (২৩-২৪) আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী- তারা হলেন, ‘তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা, ভগিনীকন্যা, তোমাদের সেই মা, যারা তোমাদের স্তন্য পান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোনো গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।’
তবে বংশগত সম্পর্কের কারণে ৭ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম ১. মাকে বিয়ে করা হারাম। এখানে দাদি, নানি সবার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযাজ্য। ২. স্বীয় ঔরসজাত কন্যাকে বিয়ে করা হারাম। এখানে পৌত্রী, প্রপৌত্রী, দৌহিত্রী, প্রদৌহিত্রী তাদেরও বিয়ে করা হারাম। ৩. সহোদরা ভগ্নিকে বিয়ে করা হারাম। এমনিভাবে বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভগ্নিকেও বিয়ে করা হারাম। ৪. পিতার সহোদরা, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকে (ফুফুকে) বিয়ে করা হারাম। ৫. আপন জননীর সহোদরা, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকে (খালা) বিয়ে করা হারাম। ৬. ভ্রাতুষ্পুত্রীর সঙ্গেও বিয়ে হারাম, আপন হোক, বৈমাত্রেয় হোক। ৭. বোনের কন্যা, অর্থাৎ ভাগ্নিকে বিয়ে করা হারাম। চাই সে বোন সহোদরা, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় যেকোনো ধরনের বোনই হোক না কেন, তাদের কন্যাদের বিবাহ করা ভাইয়ের জন্য বৈধ নয়। এছাড়াও বৈবাহিক সম্পর্কের ফলে ৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম। ১. স্ত্রীদের মা। (শাশুড়ি) স্বামীর জন্য হারাম। এতে স্ত্রীদের নানি, দাদি সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য। ২. নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের পর সহবাস করার শর্তে ওই স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত কন্যাকে বিবাহ করা হারাম। ৩. পুত্রবধূকে বিয়ে করা হারাম। পুত্র শব্দের ব্যাপকতার কারণে পৌত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা যাবে না। ৪. দুই বোনকে বিবাহের মাধ্যমে একত্র করা অবৈধ, সহোদর বোন হোক কিংবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় হোক, বংশের দিক থেকে হোক বা দুধের দিক থেকে হোকÑ এ বিধান সবার জন্য প্রযোজ্য। তবে এক বোনের চূড়ান্ত তালাক ও ইদ্দত পালনের পর কিংবা মৃত্যু হলে অন্য বোনকে বিয়ে করা জায়েজ।
যড়সধহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স