আজ ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেতে পারে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেট্রিকটন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
আনিসুর রহমান তপন : ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৬০ হাজার মেট্রিকটন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে অনুযায়ী উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চীন সরকারের কনসেশনাল লোন (জিটুজি)’র আওতায় একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ বুধবারের সভায় এটি অনুমোদন পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রমতে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রস্তাবিত ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার (পিজিসিবি)’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান সিসিসিই-ইটিইআরএন-এফইপিইসি কনসোর্টিয়াম, চায়নার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় এক বিলিয়ন ১৪১ মিলিয়ন ২০০ হাজার ১১৬ ইউএস ডলার। প্রকল্পটি পিপিআর ২০০৮-এর ১১(৩) বিধি অনুযায়ী এ ক্রয়মূল্য কোম্পানির বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
একই সঙ্গে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ খাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ডিপিডিসি এলাকায় নতুন ২৩০/১৩২ কেভি সুপার গ্রিড নির্মাণ, ১৩২/৩৩ কেভি এবং ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ ও বিদ্যমান উপকেন্দ্রের ক্ষমতাবর্ধনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এ জন্য চীন সরকারের কনসেশনাল লোন (জিটুজি)-র আওতায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। চীন সরকারের মনোনিত (ইপিসি ঠিকাদার) টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক বিলিয়ন ৬৫০ মিলিয়ন ৫১০ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি