দরিদ্র দেশগুলো শরণার্থীদের বোঝা টানছে : অ্যামনেস্টি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র দশটি দরিদ্র দেশ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে উল্লেক করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে ধনি দেশগুলোর ‘স্বকীয় স্বার্থকে’ বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সমালোচনা করেছে। লন্ডন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি মঙ্গলবার রিপোর্টটি প্রকাশ করে। আরটিএনএন
রিপোর্ট পেশ করার সময় বলেন অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেট্টি বলেন, ‘বিশ্বের স্বল্প কয়েকটি দেশের উপর বড় বেশি দায় চাপানো হয়েছে, কেননা তারা সংকটের প্রতিবেশী।’ তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বাস্তবিক অসহনীয়; এই পরিস্থিতি সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পলায়নপর লক্ষ লক্ষ মানুষকে দুর্দশা ও দু্র্েভাগের মুখে ফেলে দিয়েছে।’ এক্ষেত্রে তিনি ধনি দেশগুলোর প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বের সমৃদ্ধতম দেশগুলি ‘সবচেয়ে কম সংখ্যক (উদ্বাস্তুকে) আশ্রয় দেয় ও সবচেয়ে কম সাহায্য করে থাকে।’ বিশ্বের ১০টি দেশ সারা বিশ্বের শরণার্থীদের ৫৬ শতাংশকে আশ্রয় দিচ্ছে। সবার আগে জর্ডান, ৬৪ লাখ মানুষের দেশ, যেখানে ২৭ লাখ শরাণার্থী আশ্রয় পেয়েছে। তার পরে আসছে তুরস্ক (২৫ লাখ), পাকিস্তান (১৬ লাখ), লেবানন (১৫ লাখ), ইরান (প্রায় দশ লাখ), ইথিওপিয়া (সাত লাখ), কেনিয়া (সাড়ে পাঁচ লাখ), উগান্ডা (প্রায় পাঁচ লাখ), কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (প্রায় চার লাখ) ও চাড (প্রায় চার লাখ)। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
এ সব পরিসংখ্যানই জাতিসংঘের উদ্বাস্তু ত্রাণ সংস্থা ইউএনএইচসিআরের।
বিশ্বের সমৃদ্ধতম দেশগুলির শুধু ত্রাণের অর্থ যোগালেই চলবে না উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি বলে, ‘ধনি দেশগুলো মানুষজনকে ‘ওখানে রাখার’ জন্য টাকা দিয়ে’ খালাস পেতে পারে না। আশ্রয়দানকারী মুখ্য দেশগুলো সব শরণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করতে পারার ফলে বহু শরণার্থী সব ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ