আবু আহমাদ
সন্তানের সুন্দর ও অর্থপূর্ণ নাম রাখা বাবা-মা’র দায়িত্ব। সকলেই তার সন্তানের জন্য পছন্দসই নাম খোঁজেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পসন্দসই ও ‘আনকমন’ নাম খোঁজ করতে গিয়ে। ‘আনকমন’ নাম রাখতে গিয়ে অনেকেই এমন নাম নির্বাচন করেন, যা হয় অর্থহীন বা এমন শব্দ যা কোনো নাম হতে পারে না। কোনো একটি শব্দ কুরআন মাজিদে পেয়েছেন এবং পছন্দ হয়েছে তো সেটা সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে এক ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাবি’ নামের অর্থ কী? প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে ‘ফাবি’ শব্দটা কোত্থেকে এল। পরে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, সুরা আর রাহমান এই আয়াতের প্রথম দুই অক্ষর ‘ফাবি’ থেকে রাখা হয়েছে। এটি সুরা আর রাহমানে বারবার এসেছে, তার কাছে ভালো লেগেছে, সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।
আমি তো শুনে অবাক। বলে কী! বিচ্ছিন্ন দুটি অক্ষর দিয়ে রাখা নামের এখন কী অর্থ হবে? কোনোই অর্থ নেই। সুতরাং নাম রাখার আগে কোনো আলেম থেকে জেনে নেওয়া; আমি যে নাম রাখতে চাচ্ছি সেটি কোনো নাম হতে পারে কি না এবং এটি অর্থবহ ইসলামি নাম কি না।
সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে কোনো সাহাবির নাম যদি অসুন্দর হত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সুন্দর নাম রাখতেন। হাদিসে এসেছে, এক সাহাবিয়্যার নাম ছিল ‘আছিয়া’ যার অর্থ অবাধ্য-নাফরমান। তখন নবীজি তার নাম রাখলেন ‘জামিলা’ যার অর্থ ‘সুন্দরী’। সহিহ মুসলিম: ২১৩৯
সুতরাং এ বিষয়ে আমরা সচেতন হব।