আব্দুল্লাহ বিন রফিক
রুগ্ন ব্যক্তির দেখা-শোনার বিষয়টি ইসলামি শরিয়ত অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাবে এবং জানাযার অনুসরণ করবে (কাফন-দাফনে অংশগ্রহণ করবে) তাহলে তা তোমাকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। আল আদাবুল মুফরাদ
রুগ্ন ব্যক্তির সেবার মাধ্যমে প্রভুর নৈকট্য লাভ করা সহজ। রোগী পরিচর্যার ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কোনো রুগীর পরিচর্যা করে, সে রহমতের মধ্যে ডুব দেয়, এমনকি সে যখন সেখানে বসে পড়ে, তখন তো রীতিমতো রহমতের মাঝে অবস্থান করে’। (আল আদাবুল মুফরাদ) হজরত আবু আসমা রা. হতে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তার কোনো রুগ্ন ভাইকে দেখতে যায়, সে জান্নাতের ফলমূলের মধ্যে অবস্থান করবে।’ আল আদাবুল মুফরাদ
অনুরূপ একটি হাদিস সহিহ মুসলিম শরিফেও বর্ণিত হয়েছে। হজরত ছাওবান রা. নবী করিম সা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘মুসলমান যখন তার রুগ্ন মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত জান্নাতের ‘খুরফার’ মধ্যে অবস্থান করতে থাকে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল সা.! জান্নাতের খুরফা কি? উত্তর দিলেন, তার ফলমূল।’ মুসলিম
হজরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সা. স্বীয় পরিবারের কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তার গায়ে হাত রেখে বলতেন, ‘হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রভু! রোগ দূর কর, রোগ-মুক্তি দান কর। তুমিই রোগ-মুক্তি দানকারী। তোমার রোগ-মুক্তি ছাড়া কোনো রোগ-মুক্তি নেই। এমন রোগ-মুক্তি কোনো রোগ বাকি রাখে না।’ বোখারি