প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করবেন সারকোজি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফ্রান্সে মুসলিম নারীদের হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করতে চান নিকোলাস সারকোজি। ফ্রান্সের রেডিও ক্লাসিক-এ তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এতে বলা হয়েছে, আগামী বছর ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। তিনি ফরাসি ওই রেডিওকে বলেছেন, তিনি মুসলিম নারীদের হেডস্কার্ফ বন্ধ করতে চান। কারণ, ফ্রান্সে নারী-পুরুষে সম মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে চান তিনি। এর মধ্য দিয়ে সমতা নির্ধারণে কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। রেডিও ক্লাসিকে ডানপন্থি এই নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- তিনি ক্ষমতায় এলে হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনÑ ‘এক্সাটলি’। এরপর সাংবাদিকরা তার কাছে আরও পরিষ্কার উত্তর জানতে চান। তারা বলেন, উত্তরটা তাহলে কি ‘হ্যাঁ নাকি না’। এবার জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। ফ্রান্সের মাটিতে আমরা নারী ও পুরুষে অসমতা গ্রহণ করি না’। তিনি এ সময় যুক্তি দেখান যে, লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য হেডস্কার্ফ ও বুরকিনি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের জাতীয় পরিচয় প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, কোনো হেডস্কার্ফ নয়। কোনো বুরকিনি নয়। নয় কোন বিশেষ ধরনের সাঁতারের পোশাক। যখন অধিকারের কথা আসবে তখন সবাই সমান। তিনি নারী হোন বা পুরুষ হোন। নিকোলাস সারকোজি বলেন, আমাদের একটি জাতীয় পরিচয় আছে। জীবনের একটি পথ আছে। বিশ্বে এখনও এমন দেশ আছে যেখানে নারীরা গাড়ি চালাতে পারেন না। কেউ চাইলে সেখানে গিয়ে বসবাস করতে পারেন। কিন্তু ফ্রান্সে আমরা এমনটা গ্রহণ করবো না। নিকোলাস সারকোজি হেডস্কাফ’ নিয়ে এমন মন্তব্য করলেও তার প্রচারণা টিম এমন প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মিডিয়া সারকোজির বক্তব্য বাড়িয়ে বলছে। তার প্রচারণা টিমের পক্ষ থেকে এল’একপ্রেস পত্রিকাকে বলা হয়েছে, আমরা বুরকিনি নিয়ে কাজ করছি। হেডস্কার্ফ নিয়ে নয়। এ নিয়ে মিডিয়ায় বাড়াবাড়ি আছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ