হিলারি ও ট্রাম্পের অনলাইন যুদ্ধ
সজল সরকার: ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক দেখেছে ৫৫ মিলিয়ন দর্শক। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে তার পক্ষে জোরালো মন্তব্য তুলে ধরেছেন। এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে হিলারি ও ট্রাম্পের অনলাইন যুদ্ধ এখন তুঙ্গে।
হিলারি ও ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক যেভাবে টেলিভিশনে দর্শক দেখেছে ঠিক একইভাবে ইয়াহু বাজফিড ও ফেসবুক লাইভে দর্শকরা উপভোগ করেছে এ বিতর্ক এবং অনলাইনে পাঠক মন্তব্য থাকার সুবিধার কারণে পাঠকরা অনলাইনকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির দৈনিকগুলোও প্রেসিডেন্টসিয়াল বিতর্ককে অনলাইনে দিয়েছে, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালও অনলাইনে এই বিতর্কের স্ট্রিমিং দিয়েছে। অনলাইন মিডিয়ার জনপ্রিয়তার জন্য প্রেসিডেন্টিয়াশ প্রার্থীরাও বেশি সচেতন ছিলেন। কারণ এ প্রজন্মের পাঠক অনলাইনে তাদের মন্তব্য সরাসরি প্রকাশ করতে থাকে।
হিলারি ও ট্রাম্প উভয় প্রার্থীই অনলাইন পাঠকদের গুরুত্ব চিন্তা করে নিজেদের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ তরুণ প্রজন্ম থেকে পৌঢ় পর্যন্ত সব ধরনের ভোটারের আবেগকে নিজেদের স্বার্থে নিতে দুই প্রার্থীই কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ট্রাম্প বিতর্কের জন্য একটি স্নাপচ্যাট কিনেছিলেন যাতে ট্রাম্প হিলারিকে বিতর্কের ফাঁদে ফেলেছেন বলে প্রায় ৩ শতাংশ তরুণ ভোটার ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন বাস্তবে হিলারি ক্লিনটন বিতর্কে জয়ী হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬২ শতাংশ প্রভাবিত করেছেন এবং যেখানে হিলারির স্কোর ছিল ৩৮ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে অনলাইন মিডিয়ার প্রভাব বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে যার দরুণ প্রার্থীদের সামাজিক বৃদ্ধিদীপ্ততাও সে পরিমাণই বাড়াতে হচ্ছে। সূত্র : দ্য হুট। এফএ। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম