বিপ্লব বিশ্বাস: সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে (২৩) কোপানো শাবিছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম ছোটবেলা থেকেই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছে। বদরুলের শাস্তিও দাবি করেছে তারা। বখাটে বদরুলের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিরজ্ঞাতি গ্রামে। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান।
২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাঙ্গাইল সফির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে খাদিজার সঙ্গে বখাটেপনা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হন বদরুল। পরে প্রতারণার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের হাতে গুরুতর আহত হন বলে জানান। এর ফলে তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছেন। এছাড়া ওই গণপিটুনির বিষয়টিকে শিবিরের হামলা বলে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা হিসেবে চলতি বছরের ৮ মে অনুমোদিত শাবি ছাত্রলীগ কমিটিতে সহ-সম্পাদক মনোনীত হন।
দিনমজুর পরিবারেই বেড়ে ওঠে বখাটে বদরুল। ছোটবেলা থেকেই ছিল সন্ত্রাসী-উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। আলহাজ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মখলিছুর রহমান জানান, বদরুল আলম স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর মনিরজ্ঞাতি থেকে (খ-কালীন) স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার দিন স্কুল বন্ধ ছিল। এ লোমহর্ষক ঘটনাটি জানার পর স্কুল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদরুল চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ৭ থেকে ৮ মাস আগে তার দিনমজুর বাবা মারা গেছেন। তার চাচা ফজল উদ্দিন, মা ও চাচিসহ পরিবারের লোকজন উচ্ছৃঙ্খল বদরুলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম