ডিমলা প্রতিনিধি : আর কত দরিদ্র কিংবা হতদরিদ্র হইলে মোর (আমার) ভাগ্যে জোটবে ১০ টাকা কেজি চাউল? আর কতটা দুঃখী হলেই মুই পাইম (আমি পারো) ১০ টাকা কেজি চাউলের কার্ড? এ প্রশ্নগুলি শোনা গেছে এক দুঃখীনি মায়ের মুখে। গতকাল শুক্রবার সকালে ভিক্ষা করে ঘুরে বেড়ানোর সময় বয়সের ভারে নুজ্জে পড়া প্রায় ৭০ বছর বয়সী ভিখারীনি ছবিতোন বেওয়া প্রশ্নগুলি করে এ প্রতিবেদককে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দরিদ্র ও হত দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল তুলে দেওয়া হচ্ছে সারাদেশে। সেই সাথে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন এই হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে কোন রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কোথাও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘোষণার পরেও ইউপি সদস্যরা ওয়ার্ডে বসবাসকারী হতদরিদ্রদের হাতে এই ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড তুলে না দিয়ে তুলে দিয়েছে সচ্ছল মধ্যবিত্তদের হাতে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া মৌজার মৃত বাচ্চা মামুদের হতদরিদ্র,সহায় সম্বলহীন ভিখারীনি দুঃখিনী ছবিতোন বেওয়া (৭০)’র ভাগ্যে জুটেনি ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড। এই দুঃখিনীর মুখে ফুটেনি হাসি। ভিক্ষা চাইতে আসা ছবিতোনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোর (আমার) এক ছেলে ও তিন মেয়ে। মোর (আমার) স্বামী মারা যায় মেলাদিন (অনেক দিন) আগে প্রায় ৩০/৩৫ বছর হবে।
ছেলেটিকেও বড় করে দিয়েছে বিয়ে। ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। কিন্তু মাকে আজো ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ভিক্ষাই করতে হচ্ছে। এই হতভাগী মাকে দেখার মত নেই কেউ। সারাদিন ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়েই নিজের জীবন প্রদ্বীপটা জ্বালিয়ে রেখেছে দুঃখিনী মা ছবিতোন বেওয়া। বযস্ক ভাতা পাননি এ প্রশ্নের জবাবে ছবিতোন বলেন, পাইছি। কিন্তু তিন মাসে ১ হাজার টাকা দিয়ে কি হয়? তাই ভিক্ষার ঝুলি হাত থেকে পড়েনি তার। সারাদিন ভিক্ষা করে শরীরটা ভালো থাকে না বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া বয়স্ক ছবিতোন বেওয়া। ইউপি সদস্য (১ নং ওয়ার্ড) মো. হাছানুর রহমানের সাথে সরাসরি যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবারে হয়ত মিস হয়েছে। তবে আগামীতে দেয়া হবে। সম্পাদনা: তারেক