নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ : রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে চরম ভোগান্তির আর এক নাম এ জনপথ। শুধু মানুষই নয়, সড়কের বেহালদশার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। একসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে এ সড়কটি ছিলো স্বপ্নের বিশ্বরোড।
রূপগঞ্জ, কালীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিকারী এক জনপদ। সড়কটিকে ঘিরে আশপাশ এলাকার জমির দাম শতগুণ বেড়ে গেছে। শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের কল্যাণেই নয়, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং সাভার ও গাজীপুর শিল্প এলাকার সঙ্গে সিলেট ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।
এটি চালু করা হয়েছে ঢাকা শহরের উপর যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ কমার জন্য। কিন্তু কোনটাই হচ্ছে না। সড়কটির রূপগঞ্জ অংশের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ভরা। শুধু বাইপাস নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রূপগঞ্জের প্রধান প্রধান রাস্তা ভয়ঙ্করে পরিণত হয়েছে। বাইপাস সড়কের সংযোগ শীতলক্ষ্যা নদের উপর কাঞ্চন সেতুও ঝুঁকির মুখে। সেতুর পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ন ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লাখ লাখ মানুষের স্বপ্নের বাইপাস সড়কটির আজ বেহাল দশা। ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কটি এখন শ্রীহীন। খানাখন্দে ভরপুর। কোথাও দেবে গেছে। কোথাও ভাঙ্গা। কোথাও গর্ত। সড়টির ৪৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৮/৯ কিলোমিটার ছাড়া পুরো রাস্তার কোথাও না কোথাও গর্ত। সড়টির রূপগঞ্জ অংশে পিচঢালা কালো রাস্তার বদলে সড়ক যেনো এক ভংয়কর রাক্ষুসে রাস্তা। পিচ ভেঙ্গে পুরো রাস্তাটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপ আর মৃত্যুগুহায়। যেনো খাবলে খাবে যানবাহন, আর পথচারী।
স্থানীয়দের মতে, একটু বৃষ্টি হলেই বেহাল চিত্র সৃষ্টি হয় রাস্তাজুড়ে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভুলতা থেকে উলুখোলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় কাদা জমে হাটু পানি। মাঝে মাঝে ট্রাকের চাকা ডুবে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। ভারি মালবাহী যানবাহন দূরের কথা, রিকসা-সিএনজি নিয়ে যেতেও দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় চালকদের।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিরউদ্দিন মিয়া বলেন, ডেমরা-কালীগঞ্জ ও রূপসী-কাঞ্চন সড়কের দু’এক জায়গায় গর্ত রয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে এগুলো মেরামত করা হবে। সম্পাদনা: তারেক