আজাদ হোসেন সুমন : পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই বাড়ি ফিরবেন, মা’কে বলেছিলেন খাদিজা। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হলেও এখনও বাড়ি ফেরা হয়নি তার। বখাটে বদরুলের ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে খাদিজা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় আছেন। গতকাল দুপুরে চিকিৎসকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার অপেক্ষা শেষ হয়েছে। তারা আরও দুদিন সময় নিয়েছেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র থেকে যুবলীগ নেত্রীদের সেলফি, মিডিয়া কভারেজ ও এব্যাপারে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ, সবমিলিয়ে বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। খাদিজার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজন শুধু নয়, দেশের কোটি মানুষ টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে খাদিজার সর্বশেষ অবস্থা জানার চেষ্টা করছেন। দেশের বিভিন্নস্থানে মিলাদ মাহফিলে দোয়া করা হয়েছে খাদিজা যাতে বেঁচে উঠেন।
মেয়ের এ করুণ পরিণতির কথা জানতে পেরে প্রবাস থেকে ছুটে এসেছেন বাবা মাসুক মীর। তিনি হাসপাতালেই অপেক্ষা করছেন মেয়ের ফিরে আসার। খাদিজার মা পাগলপ্রায়। মেয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে তিনি নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছেন। শুধুই জানতে চাইছেন, খাদিজার কী অবস্থা, মায়ের বুকে ফিরবেতো সে? হাসপাতালের সামনে দিনভর উৎসুক মানুষ ভীড় করছেন খাদিজার সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য। সবার একই প্রশ্নÑ খাদিজা বাঁচবেতো? চিকিৎসদের কাছে তার বাবা বারবার জানতে চাইছেন মেয়ের অবস্থা। বাবার একটাই চাওয়া মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক, ফিরে আসুক তাদের কাছে।
এই ঘটনায় সিলেটের বিভিন্নস্থানে গতকালও মানববন্ধন হয়েছে। খাদিজার সহপাঠীরা ঘাতক বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। তারা বলছেন, বদরুল অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। এ বিষয়ে তার বাবা মাশুক মীর প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করে গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এ মামলা নজর দিলে আসামির শাস্তি নিশ্চিত হবে। সম্পাদনা : মো. জাহাঙ্গীর আলম