ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ভারতের বিএসএফের ডিজির কাছে বিজিবির ডিজি প্রশ্ন করেছিলেন- নন নাথাল উইপেন (প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র) ব্যবহার করলে কেন এত মানুষ মারা যাচ্ছে? আমরা সেখানে দেখেছি- যেসব বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মুখে ও বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, কেউ ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তাদের শরীরের নিচের অংশে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে ভারতের চোরাকারবারিরা প্রবেশ করলে আমরা তাদের আটক করি। মরলে আমাদের হাতে মরবে। কিন্তু কই আমাদের হাতে তো কোনো চোরাকারবারি নিহত হয়নি। বাংলাদেশি যারা মারা যাচ্ছে তাদের মাথায়-বুকে গুলির চিহ্ন দেখেছি। সুতরাং তাদের (ভারত) আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর বক্তব্য অজুহাত মাত্র।
গতকাল শুক্রবার বিজিবির সদর দফতরে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এক প্রেস বিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ভারতের নয়াদিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে মহাপরিচালক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সম্মেলনে ২২ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। আর বিএসএফের ২৫ সদস্যের দলের নেতৃত্বে ছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সীমান্তে হত্যার ৯৫ ভাগ ঘটনার পেছনে গরু চোরাচালানের ঘটনা জড়িত। গরু চোরাচালানির ছত্রচ্ছায়ায় সীমান্তে অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক, হুন্ডির টাকার ব্যবসা হচ্ছে। গরু চোরাচালান বন্ধ করা হলে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ভারত সীমান্ত হয়ে আসা কয়েকজন ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিন আমাদের ধারণা ছিল ইয়াবা আসে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে। কিন্তু এখন দেখছি ভারতীয় সীমান্ত দিয়েও ইয়াবা আসছে। ভারত সীমান্তের কাছে ইয়াবা তৈরির কোনো কারখানা আছে কিনা, কীভাবে সেগুলো আসছে তা বিএসএফ খতিয়ে দেখবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি