জাতিসংঘ প্রধান হিসেবে সবচেয়ে অসহায়দের জন্য কাজ করব : গুতেরেস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মনোনীত আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করবেন তিনি। পর্তুগালের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই পদের জন্য মনোনীত হওয়ায় ‘কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবনত’ বোধ করছেন তিনি। বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত, অধিকার হরণ, দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকারদের জন্য কাজ করার কথা বলেছেন গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে গুতেরেসকে মনোনীত করে। বিডিনিউজ
পাঁচ বছরের জন্য তার নিয়োগ চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব মনোনীত হওয়ার পর ১০ বছর জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা গুতেরেস আগামী বছরের শুরুর দিকে বান কি-মুনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নিরাপত্তা পরিষদে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর লিসবনে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার এখন যে অনুভূতি হচ্ছে তা প্রকাশে আমার কাছে দুটি শব্দ আছে- কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবনত।
‘শ্রদ্ধাবনত (যা আমি বোধ করছি) আমাদের সামনে যে বিপুল চ্যালেঞ্জ, আধুনিক বিশ্বের ভয়াবহ জটিলতা তা নিয়ে। তাছাড়া এটা সবচেয়ে অসহায়, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, অধিকার হরণ, দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকারদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন।’
বান কি-মুন আগেই উত্তরসূরি হিসেবে গুতেরেসকে ‘চমৎকার পছন্দ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
‘পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা, বিশ্বের নানা বিষয় সম্পর্কে তার বিস্তারিত জ্ঞান এবং তার ধীশক্তি একটি কঠিন সময়ে জাতিসংঘকে নেতৃত্ব দিতে তাকে সক্ষম করে তুলবে,’ বলেন তিনি। এ দায়িত্ব পালনে গুতেরেসের ‘ব্যাপক যোগ্যতা’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন। যখন সারা দুনিয়া অনেক বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত, সেই সময় দায়িত্ব নিয়ে গুতেরেস জাতিসংঘকে নেতৃত্বের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি ম্যাথিউ রাইক্রফট। মহাসচিব পদে গুতেরেসের মনোনয়ন বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত হলেও হতাশা রয়েছে জাতিসংঘের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে পাওয়ার জন্য প্রচার চালানোদের। জাতিসংঘ মহাসচিব পদে একজন দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ