আকতারুজ্জামান, মেহেরপুর : মেহেরপুরে প্রশাসনের অজান্তে গত সেপ্টেম্বর মাসে কমপক্ষে ২৫ টি বাল্য বিয়ে সু-সম্পন্ন হয়েছে। বাল্যবিয়ে মুক্ত জেলা ঘোষণার পর ১ মাস তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূমিকার কারণে বাল্য বিয়ে বন্ধ ছিল।
বর্তমানে বাল্য বিবাহ বিভিন্ন কৌশলে দেদারছে সম্পন্ন হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সভাতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করার অঙ্গীকার করলেও অনেকক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতায় রাতের আধারে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে জানা গেছে, কামারখালী গ্রামের ফল্টুর মেয়ে ১ম বর্ষের ছাত্রী শাকিলা খাতুন, ছাতিয়ান নস্করপাড়া গ্রামের আবুলের মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী বিউটি, রায়পুর গ্রামের মহিবুলের মেয়ে স্কুল পড়–য়া ছাত্রী রতœা, নওয়াপাড়া গ্রামের হাসমত আলীর মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমী খাতুন, লেটাকা গ্রামের ইনতাজুলের মেয়ে ঝিলিক, একই গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে মুসলিমা খাতুন, একই গ্রামের আব্দুল্লাহর মেয়ে লিজা খাতুন, জুগিরগোফা গ্রামের লোকমানের মেয়ে সাধনা খাতুন, পীরতলা মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে তামান্না (৭ম শ্রেণি) চেংগাড়া মোল্লাপাড়ার ঠান্ডুর মেয়ে পপি (৭ম শ্রেণি), ভাটপাড়া গ্রামের সাইদুল মিস্ত্রির মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী নিলা খাতুন. পশ্চিম মালসাদহ গ্র্রামের রেজাউলের মেয়ে বর্ষা (৭ম শ্রেণি), গাংনী মাঠপাড়া গ্রামের বাবুর মেয়ে রেখা খাতুন, করমদী হাফেজীয়া মাদ্রাসার পার্শে দাউদ হোসেনের মেয়ে সুজাতা খাতুেনর বিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুসম্পন্ন করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দেদারছে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসনের নমনীয়তা বা দুর্বলতাকে দায়ী করছেন এনজিও প্রতিনিধি ও সচেতনমহল।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ জামান প্রশ্নের জবাবে জানান, গোপনে ২/১ টি বিয়ে হচ্ছে। শতভাগ বাল্য বিয়ে বন্ধ করা যাবে না।
তবে আইন আদালতের ভয়ভীতি দেখিয়ে যতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমর সিংহ জানান, বাল্যবিয়ের ব্যাপারে কোন তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কনের পিতা,মাতা রেজিষ্ঠ্রি বিহীন বিয়ে দিলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। তাছাড়া যারা বিয়ে দিচ্ছেন সে সকল ইমাম সাহেবদের কে আমরা আইনের কাঠগড়াই দাঁড় করাচ্ছি। সম্পাদনা: তারেক