রুশ-পাকিস্তান সম্পর্ক গড়ে উঠার কারণ জানালেন পাকিস্তান সিনেটর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সিনেটর মুশাহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের কারণেই রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠছে। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে মুশাহিদ হোসেন এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তন হতে দেখছি।’ আইআরআইবি
পাকিস্তান সিনেটর বলেন, ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া আছে; মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দু দফা ভারত সফরের পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজন অনুভব করেছে পাকিস্তান। এটিই ছিল রুশ-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনার কারণ।’ মুশাহিদ হোসেন জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া ‘কাজের সম্পর্ক’ গড়ে তুলছে এবং তারা আফগান তালেবানদের সঙ্গেও গোপন চ্যানেলে সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মুশাহিদ হোসেন বলেন, ২০০৬ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তখন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তখন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি পরিবর্তন করেছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটি’র বিরুদ্ধে গিয়ে বুশ প্রশাসন যেমন ভারতের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেছে তেমনিভাবে নরেন্দ্র মোদির বিষয়ে ওবামার প্রশাসনের নীতির পরিবর্তনকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ সময় পাকিস্তান সিনেটর পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে অথচ কাশ্মির জ্বলবে, তা হতে পারে না। এভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগের কথাও তুলে ধরেন মুশাহিদ হোসেন।
আটলান্টিক কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেছেন, ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল করতে পারে না; যদি তারা এ ধরনের কাজ করে তবে তা যুদ্ধ ঘোষণা বলে ধরে নেওয়া হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ