জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর: সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারহানা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউজে ডা. ইমামুলের মধ্যস্থতায় ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ফারহানা বলেন, বিয়ের পর তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেওয়া নিয়ে তার সঙ্গে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পরে মোবাইল ফোনে ডা. আশফাকুর রহমান মামুন আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং লক্ষ্মীপুর না আসতে বলে। আমি গত শুক্রবারের পরীক্ষা দিতে লক্ষ্মীপুর আসায় ডা. আশফাকুর রহমান মামুন আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। শনিবার সকালে ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত কলেজছাত্রী ফারহানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহনেওয়াজ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল মামুন ভূঁইয়া সদর হাসপাতালে আহত কলেজছাত্রীকে দেখতে গিয়ে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, ফারহানার চিকিৎসা ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ফারহানাকে দেখতে সদর হাসপাতলে যান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজ্জাদুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রী ফারহানা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সম্পাদনা: মাহমুদুল আলম