লিহান লিমা: বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন হাজব্যান্ড। শনিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে এ বিধান জারি করা হয়। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিল দেব এবং নাগেশ্বর রায় বলেন, একজন নারী তার হাজব্যান্ডের পরিবারের একটি অংশ এবং তিনি কখনই শুধু তার আয় একা ভোগ করার জন্য পরিবার থেকে আলাদা হওয়ার দাবি করতে পারেন না। যদি এটি করেন তাহলে হাজব্যান্ড স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারবেন। বিচারপতি দেব তার রায়ে বলেন, পশ্চিমা সমাজের সাথে ভারতের ব্যাপক পার্থক্য আছে। আমাদের সংস্কৃতি এবং রীতি-নীতি বাবা-মাকে রেখে আলাদা বাস করাকে সমর্থন করে না। বাবা-মা তার সন্তানকে পড়ালেখা শেখান, বড় করেন, একসময় সন্তানই হয়ে ওঠেন তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। একসময় বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে যান এবং তাদের কোনো আয়ের উৎস থাকে না। আর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ভরণপোষণ করা সন্তানের নৈতিক দায়িত্ব। বিয়ের পর শুধু স্ত্রীর চাপের মুখে সন্তান তার বাবা-মাকে ত্যাগ করতে পারে না। কোর্ট জানায়, এটিই স্বাভাবিক রীতি যে, স্ত্রী বিয়ের পর তার হাজব্যান্ডের পরিবারের সাথে থাকবে। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া স্ত্রী কখনই তার হাজব্যান্ডের সাথে আলাদা বাস করতে পারেন না।
তিনি বলেন, অতীতে দেখা গেছে, হাজব্যান্ডকে তার পরিবারের সাথে আলাদা করার জন্য স্ত্রী নানারকম চাপ দিতে থাকেন। অনেক সময় আত্মহত্যার হুমকি দেন বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে হাজব্যান্ডকে আইনি সমস্যায় পড়তে হয়। নিজের ক্যারিয়ার, সম্মান ও সামাজিক অনেক কিছু চিন্তা করে একসময় ব্যক্তিটি রাজি হয়ে যান। আর যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এ রায়ের বিধান করা হয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি