স্পোর্টস ডেস্ক: টেলিগ্রাফের চোখে ইংল্যান্ডের এই জয় ছিল ‘আনলাইকলি’। যা প্রায় অসম্ভব। শিরোনামেই তা উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিকটি। বিবিসি তাদের ম্যাচ রিপোর্টের শুরুতেই এই জয়কে বলেছে ‘লোমহর্ষক’। ডেইলি মেইলও তাদের লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছে, ‘নিশ্চিত বড় পরাজয়ের মুখেই ছিল ইংল্যান্ড, যখন গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছিল বাংলাদেশ, তখন ৩০৯ রানের পুঁজিকেও মনে হচ্ছিল অপর্যাপ্ত।’
গত শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যে ম্যাচটা হেরে গেল, এ যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ইংলিশ মিডিয়ার। নিজ দলের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, অভিষিক্ত জ্যাক বলের দুর্দান্ত বোলিং, বেন স্টোকসের সেঞ্চুরি, জস বাটলারের প্রথম নেতৃত্ব, সবই তারা প্রশংসা করেছে। কিন্তু ঘুরেফিরে তবু যেন একটা অবিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। এমনভাবে ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
আরেক জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ডেইলি সান লিখেছে, ‘জ্যাক বল ওয়ানডে অভিষেকেই ভোজবাজির মতো ইংল্যান্ডকে স্মরণীয় এক জয় এনে দিলেন, নিরাপত্তা নিয়ে এত এত কথা অবশেষে হারিয়ে গেল গুগলি আর ছক্কার আলোচনায়। সিরিজের শুরুতেই এমন একটা ম্যাচের ভীষণ দরকার ছিল, এ কথা উল্লেখ করেছে গার্ডিয়ান। প্রথম ম্যাচকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের মানুষদের ক্রিকেট উন্মাদনা আর ক্রিকেট আবেগের ছবিটা তারা তুলে ধরেছে এভাবে, বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ভালো ও খারাপের মুহূর্তকে তুমুল গর্জন দিয়ে সমর্থন দিয়ে বলা ২৫ হাজার দর্শক বাজারের হট্টরোল বানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সেটিকে বানিয়ে দিয়েছে লাইব্রেরির নিস্তব্ধতা। হতবিহ্বল গ্যালারির নিস্তব্ধতাকে গার্ডিয়ান লিখেছে ‘পরীক্ষার হলো’। সম্পাদনা: মাহমুদুল আলম