বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি মামলায় ৫৩ জনের ৪০ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা
এস. ইসলাম জয়: বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বর্তমান পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউমার্কেট থানায় মামলা করা হয়। পাঁচটি ব্যাংকের সাতটি শাখার মোট ১২টি মামলা করা হয়েছে। এতে ৫৩ জন আসামির মধ্যে ৪০ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা। এ মামলায় জড়িতরা হলেন- খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেসার্স বিসমিল্লাহ টাওয়েল; নওরিন হাসিব- চেয়ারম্যান, মেসার্স বিসমিল্লাহ টাওয়েল লি:; সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী- পরিচালক, মেসার্স বিসমিল্লাহ টাওয়েল; আবিদা হাসিব- পরিচালক, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস; নাহিদ আনোয়ার খান- পরিচালক, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস; খন্দকার মো. মইনুদ্দিন আশরাফ- পরিচালক, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লি:, সারোয়ার জাহান- পরিচালক, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস; আকবর আজিজ মুতাক্কি- ডিএমডি, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস; মো. আবুল হোসাইন চৌধুরী- জিএম (কর্মাশিয়াল); রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ- ম্যানেজার, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস গ্রুপ; মো. আক্তার হোসেন- চেয়ারম্যান, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম; মো. মঈন উদ্দিন- প্রোপাইটার, মেসার্স টিডব্লিউ এক্সপ্রেস, গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ- স্বত্বাধিকারী, বে ইয়ার্ন।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যেÑ মো. আবদুস সালাম আজাদ- মহাব্যবস্থাপক ও শাখা ব্যবস্থাপক ও ফরেন একচেঞ্জ ইনচার্জ; আজমুল হক- ডিজিএম, জনতা ব্যাংক (জেলহাজতে); জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা; এসএম আবু হেনা মোস্তফা কামাল- উপ-মহাব্যবস্থাপক (জেলহাজতে); অজয় কুমার ঘোষ- এজিএম (রপ্তানি), জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা; ফায়েজুর রহমান ভূইয়া- এজিএম (রপ্তানি), জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা; জেসমিন আক্তার- (রপ্তানি), জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা; সৈয়দ জয়নাল আবেদীন- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা; রফিকুল আলম, প্রাক্তন ব্যবস্থাপক, জনতা ব্যাংক লিঃ, মগবাজার শাখা, বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত; খন্দকার মোশাররফ হোসেন- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, জনতা ব্যাংক লিঃ, মগবাজার শাখা, বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত; আতিকুর রহমান- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত; মোস্তাক আহ্মদ খান- সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও ম্যানেজার, এলিফ্যান্ট রোড কর্পোরেট শাখা; এসএম শোয়েব-উল-কবীর- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, এলিফ্যান্ট রোড কর্পোরেট শাখা; মো. মোজাম্মেল হোসেন- প্রাক্তন ম্যানেজার; খোন্দকার ইকবাল হোসেন- প্রাক্তন ম্যানেজার; মো. ইব্রাহীম হোসেন গাজী- ভিপি। প্রাইম ব্যাংকের এবিএম শাহ্জাহান- এভিপি, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, মতিঝিল শাখা; মোহাম্মদ ইকবাল আজিম কাদরী- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রাইম ব্যাংক, মতিঝিল শাখা; মো. আবুল কালাম- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রাইম ব্যাংক, মতিঝিল শাখা; কাজী খাইরুল ইসলাম- এফএ ভিপি, প্রাইম ব্যাংক, মতিঝিল শাখা; একেএম জান-ই-আলম; মো. ইয়াছিন আলী- ডিএমডি ও হেড অব অডিট অ্যান্ড কমপ্লাইন্স ডিভিশন; মুহাম্মদ শাহিনুর রহমান- প্রাক্তন ম্যানেজার, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মতিঝিল শাখা; জিএম শাহাদৎ হোসেন- সাবেক ডিপুটি ম্যানেজার; প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাহাবুদ্দিন সরদার- ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিপুটি ম্যানেজার, বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত; মো. তানজিবুল আলম- ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রাক্তন ক্রেডিট ইনচার্জ, বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত; আবু সালেহ মো. আরিফুর রহমান- প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার ও তাবাস্সুম যমুনা ব্যাংক লি:-এর রফিকুল হাসান; মুঃ মোর্শেদুর রহমান, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট।
যমুনা ব্যাংকের এসএম জাহিদুল ইসলাম- সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, এএসএম মাসুক- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার; মো. মোজাম্মেল হোসেন।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ইস্কাটন শাখার মো. আসলামুল হক- সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক; এএসএম হাসানুল কবীর- সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার; মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার; মান্নাতুল মাওলা- জুনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট; মো. গোলাম ওয়াহাব- প্রাক্তন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট; মো. মুনির হোসেন, এফএভিপি; মো. দুলাল হোসেন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আনিসুল কবির, এসইভিপি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংক ভবন কর্পোরেট শাখা হতে ফান্ডেড ৩০৭.৩৮ কোটি, ননফান্ডেড ২৫.৫৩ কোটি; মগবাজার শাখা হতে ফান্ডেড ১৭৭.১০ কোটি, ননফান্ডেড ১.৬০ কোটি; এলিফ্যান্ট রোড শাখা হতে ফান্ডেড ১৫.৩৪ কোটি; প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখা হতে ফান্ডেড ২৬৫.২০ কোটি, ননফান্ডেড ৬১.০৮ কোটি; প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখা হতে ফান্ডেড ২৩.২২ কোটি; ননফান্ডেড ৩৯.৩১ কোটি; যমুনা ব্যাংক দিলকুশা শাখা হতে ফান্ডেড ১০৮.৬৪ কোটি, ননফান্ডেড ৪৬.০২ কোটি; শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক ইস্কাটন শাখা হতে ফান্ডেড ৯৩.১৫ কোটি, ননফান্ডেড ১০.৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফান্ডেড ৯৯০.০৩, ননফান্ডেড ১৮৪.৪৩ কোটি টাকা। মোট ১১৭৪.৪৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম