পরাগ মাঝি: প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে’ বা বিশ্ব হাসি দিবস। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শুক্রবার ওই হাসি দিবসেই তার জন্মদিন পালন করেছেন। যদিও এ নেতার মুখে লোকে হাসি দেখেছে কদাচিৎ!
রাশিয়ানদের মতো ইরানি এবং ফরাসিরাও অন্যদের চেয়ে হাসে কম। এজন্য অবশ্য কিছু সামাজিক কারণও রয়েছে। পোলিশ একাডেমি অব সাইয়েন্স-এর সাইকোলজিস্ট কুবা ক্রিজ এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাজের কিছু লোক তার চারপাশের অনিশ্চিত পরিবেশ নিয়ে বিরক্ত থাকে। রাজনৈতিক কারণে অবদমিত এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের মানুষও দেখা মেলে; যেখানে পড়াশোনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং সেখানে কঠিন সামাজিক নিয়ম বেছে নেওয়া হয়। এছাড়াও, কিছু সমাজে অপরাধ প্রবণতা নাগরিক সেবার চেয়ে প্রভাবশালী।
এসব কারণে কুবার গবেষণাপত্র অনুযায়ী- রাশিয়া, ইরান এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে হাসিকে খুব কমই স্বাগতম জানানো হয়। আর হাসলেও অনেকাংশেই মনে হয় তা মেকি। গবেষণায়, ৮টি হাসিমুখ এবং গম্ভীরমুখকে বিবেচনায় নিয়ে ৪৪টি দেশের কয়েক হাজার মানুষের উপর জরিপ চালানো হয়। জরিপ অনুযায়ী, কয়েকটি দেশের লোক মনে করে হাসিতে নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। যেমন- রাশিয়া, জাপান এবং ইরানের মতো কিছু দেশ।
আবার, আর্জেন্টিনা, জিম্বাবুয়ে, ইরান এবং রাশিয়ায় অনেক মানুষই মনে করে হাসিতে অসততা প্রকাশ পায়।
হাসির ক্ষেত্রে লিঙ্গ এবং সংস্কৃতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণাপত্রে মন্তব্য করা হয়। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম