নূসরাত জাহান : নারী নির্যাতনের ঘটনা তো হামেশাই ঘটে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা মাঝে মধ্যে শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো মিসরের মতো রক্ষণশীল দেশের নারীরা নাকি স্বামী পেটানোর দিক দিয়ে প্রথম। খোদ জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের পরেই যথাক্রমে রয়েছে ব্রিটেন ও ভারত। মিসরের পারিবারিক আদালতের তথ্য অনুযায়ী, স্ত্রীদের নির্যাতন ও পেটানোর শিকার হয়ে শতকরা ৬৬ শতাংশ স্বামী তালাকের জন্য আবেদন করে। আদালতের এ ধরনের ছয় হাজার মামলা রয়েছে। স্বামীদের অভিযোগ, নির্যাতন করা থেকে তাদের স্ত্রী বিরত রাখতে বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, নারী শুধু হাত দিয়েই স্বামীদের পেটায় না। তারা চুলের কাঁটা, বেল্ট, রান্না ঘরের জিনিসপত্র, জুতা দিয়ে পেটায়।
চলতি বছরের প্রথম দিকে মিসরের শীর্ষ এক কৌঁসুলি ফেসবুকের এক অ্যাডমিনিট্রেটরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। কারণ, তৈমুর এল সবকে নামের ওই ব্যক্তি একটি টিভি শোতে বলেন, ফেসবুকের কারণে এক-তৃতীয়াংশ নারী স্বামীর সঙ্গে এমন আচরণ করছে। তার এমন মন্তব্যের কারণে নারীদের সম্মানহানি হয়েছে বলে মন্তব্য করে কৌঁসুলি তৈমুরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এফএ। সম্পাদনা : রিকু আমির