যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকা থেকে মুক্ত হলো মিয়ানমার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় দুই যুগ পর মিয়ানমারের ওপর থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র সঙ্গে বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চ্যানেলআই
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র যে বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে থাকে মিয়ানমার সেটা পায় না ১৯৮৯ সাল থেকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের প্রসারে দেশটিতে সম্প্রতি যে বাস্তব অগ্রগতির চিত্র দেখা যাচ্ছে তা থেকে বোঝা যায়, মিয়ানমার এখন আর যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি নয়।
মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে বহু বছর ধরে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকা মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনকে সমর্থন করার জন্য। কেননা সু চি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশটিকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ ও সিনেট স্পিকারদের কাছে লেখা চিঠিতে ওবামা বলেন, মিয়ানমার গণতন্ত্রের সমন্বয়সাধনসহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটির সরকার ও তার জনগণের পাশে দাঁড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ফলেএখন থেকে মিয়ানমারের অনেক প্রতিষ্ঠানই কম ট্যারিফে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। সাবেক জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকা’ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এখনো তালিকায় রয়ে গেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ