নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত যুবক, উত্তাল কাশ্মীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে অব্যাহত থাকা উত্তেজনা থামাতে নিরাপত্তা বাহিনীর পেলেট গান থেকে ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হওয়া কিশোর জুনেইদ আহমেদ ভাট (১৩)-র মৃত্যুর পরই উত্তেজনা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকায়। গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর রাতেই তাকে ভর্তি করানো হয় শের-ই কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এসকেআইএমএস)-এ। শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এসকেআইএমএস হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, জুনেইদ সাবডুরাল হিমেটোমা- মারাত্মক হেড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং রাতের দিকেই তার মৃত্যু হয়। তার ব্রেনে একাধিক পেলেট বিদ্ধ হয়েছিল। এনডিডিটিভির প্রতিবেদনে, উত্তেজনা থামাতে নতুনভাবে কারফিউ জারি করা হয়েছে শ্রীনগর, খান্যার, নওহাটা, রাইনাওয়ারি, মইসুমা, মহারাজগঞ্জ, সফাকাদল, বাতামাল্লুসহ একাধিক স্থানে। মিছিলের উপরও আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে জুনেইদের লাশ নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসার পরই সেখানে প্রায় শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সরকারের বিরুদ্ধেও সেøাগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জুনেইদের লাশ দাফন করতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, সাইদপোরা এলাকায় বিক্ষোভ চরমে উঠলে পেলেট বন্দুকের ব্যবহার করতে বাধ্য হয় নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু মাথায় ও বুকে গুলি লাগায় আঘাত খুবই গুরুতর ছিল, স্বাভাবিকভাবেই তাকে বাঁচানো যায়নি। তবে বিক্ষোভের সঙ্গে জুনেইদের কোনো সম্পর্ক ছিল না বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। ভারতের সার্ক বৈঠক বয়কট ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কাশ্মীরসংক্রান্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতেই পাস হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ নয়, একটি বিতর্কিত এলাকা। ভারত সরকার বিভিন্ন নিয়ম কানুনের মাধ্যমে সেখানকার মানুষদের ওপর ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়া সরেজমিন তদন্ত করে দেখুক। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ