বিশ্ব হসপিস ও প্যালিয়েটিভ দিবস পালিত ৬ লাখ রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যায়
দেলওয়ার হোসাইন: ব্যথাপূর্ণ জীবন এবং ব্যথাসহ মৃত্যু: কোনোটিই কাম্য নয়- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গতকাল শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গতকাল সকাল ৯টায় হোটেল সোনারগাঁয়ের বলরুমে চলচিত্র, সম্পূরক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে। মৃত্যুর কাছে জীবনের প্রশ্ন চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো দেখানো হয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারে।
দেশে প্রায় ৬ লাখ রোগী যথাযথ চিকিৎসার অভাবে বা অপচিকিৎসায় সর্বশান্ত হয়ে নিদারুণ ব্যথা এবং যন্ত্রনায় মৃত্যু বরণ করে। অথচ ওষুধের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত, দক্ষ জনবল সৃষ্টি ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেই দেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের (প্রশমন সেবা) বিস্তার ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরোগ্য অযোগ্য রোগের সম্মুখীন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের যন্ত্রণা কমানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টার প্রক্রিয়াই প্যালিয়েটিভ (প্রশমন সেবা) কেয়ার নামে পরিচিত। চিকিৎসা ও সমাজবিজ্ঞানে এটি একটি স্বীকৃত বিষয়। দিবসটির গুরুত্ব অনুধাবন করে বি.এম.এ এ বছর এশিয়া প্যাসিফিক হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার নেটয়ার্ক (এপিএইচএন) ও ওয়ার্ল্ড চাইল্ডহুড ক্যান্সার (ডাব্লিউসিসি) এবং বাংলাদেশের অন্যান্য উৎসাহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করে।
বি.এম. এ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার ও অন্যান্য অসংক্রামক ব্যাধি আর মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের যথাযথ স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এ জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য ও সমাজ ব্যবস্থায় এটি অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনÑ বি.এম. এ-এর সভাপতি অধ্যাপক মো. মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক সিনথিয়া গো, ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর, অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ প্রধান, সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রমুখ। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম