অপরাধ প্রবণতা কমাতে অপরাধীর দ্রুত বিচার করা জরুরি
মে. জে. আবদুর রশীদ (অব.)
কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে বখাটে প্রেমিক, ছাত্রলীগ নেতা বদরুল যেভাবে কুপিয়ে জখম করেছে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ ধরনের ঘটনা সাম্প্রতিককালে প্রায়ই ঘটছে, কোনোটি প্রকাশ হচ্ছে, কোনোটি অপ্রকাশিতভাবেই রয়ে যাচ্ছে। যে ঘটনাগুলো প্রকাশ হচ্ছে সেগুলো নিয়ে সমাজ, মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আর যেসব ঘটনা অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে সেগুলোর কোনো খবর কি আমরা রাখতে পারছি?
সিলেটে বদরুল নামের যে ছেলেটি কলেজছাত্রী খাদিজাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে তা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এসব ঘটনা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকির সৃষ্টি করছে। যারা অপরাধী তাদের দ্রুত বিচারই কেবল এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রেরণাও জোগাতে পারে। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সমাজে।
এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অপরাধীর দ্রুত বিচার। দেখার বিষয়, অপরাধীর দ্রুত বিচার করতে সমাজ বা রাষ্ট্র কী করছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা ক্রমেই বাড়তে থাকবে।
এই অপরাধ প্রবণতা কমাতে হলে অপরাধীদের দ্রুত বিচার করা খুব জরুরি। দ্রুত বিচারের একটি নিদর্শন যদি সৃষ্টি করা যায়, তাহলে অপরাধীরা অপরাধ করা থেকে নিবৃত থাকে। কেউ বিপদগ্রস্ত হলে, কারও দ্বারা আক্রান্ত হলেÑ মানুষ এগিয়ে আসত। এখন কেউ এগিয়ে আসে না বললেই চলে। কারণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতা। এ ধরনের মানসিকতা যতদিন না আমরা ত্যাগ করতে পারব, ততদিন কারও উপকারে এগিয়ে আসতে পারব না।
পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশিক রহমান