নিহত জঙ্গি তানভীরের স্ত্রীসহ তিন নারী রিমান্ডে
মামুন খান: রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমাসহ তিন নারী জঙ্গিকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষে রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেনÑ আজিমপুরের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবি নেতা তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, গুলশান হামলায় জড়িত নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি এবং আরেক জেএমবি নেতা বাসারুজ্জামান ওরফে চকলেটের স্ত্রী শারমিন ওরফে শায়লা আফরিন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার আহসান নূরুল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এই তিন নারীকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। আসামিদের পরিবার ও পরিবারের সদস্যরাও জঙ্গি কর্মকা-ে সম্পৃক্ত। এদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জঙ্গিদের আস্তানা এবং জঙ্গি কর্মকা-ে সংশ্লিষ্ট অপর সদস্যদের সন্ধান দিতে পারবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এজন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
তবে এদিন আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। এজন্য আদালতকে কিছু বলার আছে কি না তা জিজ্ঞাসা করেন বিচারক। তিন নারীর মধ্যে তানভীরের স্ত্রী আদালতকে বলেন, স্বামীর কথা শুনে আমরা ভুল করেছি। আমরা এখন ভালো হতে চাই।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ওই তিন নারীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ১৪ বছর বয়সী ছেলে তাহরীম কাদেরীকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার আজিমপুরে বিজিবি ২ নম্বর গেটের সামনে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় জঙ্গি তানভীর কাদেরী নিহত এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন নারী জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ওই নারীদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রোববার তাদের ওই ঘটনায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম