এমসিকিউ অংশের নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল : শিক্ষামন্ত্রী
দেলওয়ার হোসাইন: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় এমসিকিউ অংশের নম্বর কমিয়ে সৃজনশীলে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে শিাবিদদের সঙ্গে এক সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটার কোনো পরিবর্তন হবে না। এটা পরিবর্তনের কোনো যুক্তি নেই, কারণ নেই। শিার্থীরা সময় কম পাচ্ছে না। মাধ্যমিক শিার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে বরেণ্য শিাবিদদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীার প্রশ্নপত্রে সৃজনশীল অংশে প্রশ্ন ও নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় একটি প্রশ্নপত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রশ্ন করা হয়। একটি অংশ সৃজনশীল, আরেকটি অংশ এমসিকিউ। এত দিন ১০০ নম্বরের পরীায় সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিল ৬০, এমসিকিউ অংশের নম্বর ছিল ৪০। এমসিকিউর জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০০ নম্বরের মধ্যে সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০। এমসিকিউ অংশের নম্বর হবে ৩০। গত বছরের অক্টোবরে শিা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
শিামন্ত্রী বলেন, এনিয়ে প্রথমে মফস্বলে কিছু শিার্থী আপত্তি করেছিল। শেষ দিকে ঢাকার কয়েকটি স্কুলও তাতে যুক্ত হয়। তবে এখন আর তা নেই। নতুন পরিবর্তনের ফলে কী হবে তার ব্যাখ্যা দেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আগে ১০০ নম্বরের পরীায় এমসিকিউর নম্বর ছিল ৪০। সময় ছিল ৪০ মিনিট। তখন সৃজনশীলে ৯টি প্রশ্ন থেকে ৬টির উত্তর দিতে হতো। সে জন্য সময় ছিল ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। আর পরিবর্তনের ফলে এখন ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টির উত্তর দিতে হবে। সময় বরাদ্দ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে ২১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। মন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৪ সেকেন্ডের হেরফের কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। একইভাবে ৭৫ নম্বরের যে পরীা হয়, তাতেও সমস্যা হবে না।
সভায় পরীাপদ্ধতি সংস্কার করে সহজ করা, প্রশ্নভা-ার করা, বইগুলো পরিমার্জন করে সহজ করাসহ মাধ্যমিক শিার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস মনজুর আহমেদ প্রমুখ। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম