সোহেলের আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর কারাগারে প্রেরণ
মামুন খান : রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৪০ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার সকালে সোহেল মামলাগুলোয় ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে বিভিন্ন আদালত এই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোহেলকে যে মামলাগুলোতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, পল্টন থানার ২২টি মামলা, মতিঝিল থানার ৩টি, দারুস সালাম থানার ২টি, যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি, ওয়ারী থানার ২টি, মুগদা থানার ৩টি, খিলগাঁও থানার ২টি এবং রমনা, শাহবাগ ও মোহাম্মাদপুর থানার ১টি করে মামলা।
রোববার সকালে সোহেল প্রথমে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপুর আদালতে যান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর সোহেল পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে ঢাকা মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশিরের আদালতে যান। সেখানেও তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর পর্যায়ক্রমে মুগদা ও খিলগাঁও থানার মামলায় কাজী কামরুল ইসলাম, শাহবাগ ও রমনা থানার মামলায় আহসান হাবীব, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গোলাম নবী, ওয়ারী থানার মামলায় গোলাম নবী এবং দারুস সালাম থানার মামলায় খুরশীদ আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোহেলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে তদন্তাধীন ও চার্জশিট হওয়া প্রায় ১১০টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে রোববার ৪০টি মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তার জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। তার জামিনের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
উল্লেখ্য, বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম